জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মনি কিশোর
৯০ এর দশকের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মনি কিশোরের রামপুরার সেই ফ্ল্যাটের তালা খোলা হচ্ছে মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর। গত ১৯ অক্টোবর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ফ্ল্যাটটি থেকে এই কণ্ঠশিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর থেকে তদন্তের স্বার্থে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশে নিষেধ ছিল।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) গায়ক মনি কিশোরের রামপুরার সেই ফ্ল্যাটের তালা খোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার দায়িত্বে থাকা রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খান আবদুর রহমান। মনি কিশোরের পরিবার ও বাড়ির মালিকের উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটের তালা খোলা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, গায়ক মনি কিশোরের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে রামপুরার ওই ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ ছিল। এতে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন বাড়ির মালিক। অন্যদিকে মনি কিশোরের পরিবারও বাড়িটি খালি করার কথা বলছিলেন। ফলে আইনি কোনো বাধা না থাকায় ফ্ল্যাটের তালা খোলা হচ্ছে।
এসআই খান আবদুর রহমান জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক ও মনি কিশোরের পরিবার থেকে বাড়িটি খালি করার কথা বলা হচ্ছিল। এ বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই। আর আইনি কোনো জটিলতাও নেই। সবার সঙ্গে কথা বলে বাড়িটি খালি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সবার উপস্থিতিতেই ফ্ল্যাটের তালা খোলা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড়ির মালিক শামসুদ্দোহা তালুকদার জানিয়েছেন, পুলিশ ও মনি কিশোরের ভাইকে রুমটি খালি করে দেয়ার বিষয়ে বলেছিলেন তিনি। পরে রুমটি খালি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। রবিবার মনি কিশোরের ভাই আসার কথা রয়েছে। তার ও পুলিশের উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটটি বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বাড়ির মালিক শামসুদ্দোহা তালুকদার।
মরদেহ উদ্ধারের সময় পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিল, অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হতে পারে মনি কিশোরের। এমনকি তিনি নিয়মিত চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন। কারণ, মরদেহ উদ্ধারের পর ওই বাসা থেকে সিটি স্ক্যান, এমআরআই রিপোর্টসহ কিছু মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া যায়। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি।
শহিদ