ছবি: সংগৃহীত।
২০০৬ সালে, অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রাই অভিনীত একটি ছবি ছিল যেটি তাদের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ফ্লপ। পরিচালকের জন্য এই ব্যর্থতা এতটাই বিধ্বস্তকর ছিল যে, তার নতুন একটি প্রজেক্ট নিতে ১২ বছর সময় লেগেছিল। এই ফ্লপ সিনেমাটি ছিল একটি ব্লকবাস্টারের রিমেক, যা তৈরি হয়েছিল ১৫ কোটি টাকায়। তবে, ছবিটি বক্স অফিসে মাত্র ৭ কোটি রুপি আয় করতে পেরেছিল।
সেই ছবিটির নাম হলো ‘উমরাও জান’। এই সময়েই ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেমে পড়েছিলেন অভিষেক। ‘উমরাও জান’, উর্দু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হিসেবে পরিচিত, যা কবি মির্জা হাদি রুসওয়ান রচনা করেছেন। এই উপন্যাসটি ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন দুনিয়ায় অসংখ্য রিমেক সিনেমার উৎস হয়ে উঠেছিলো। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রিমেকটি ছিলো ১৯৮১ সালের চলচ্চিত্র "উমরাও জান", যেখানে রেখা প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন মুজাফফর আলী। ছবিটি এখনও হিন্দি সিনেমার একটি অমর ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত হয়।
২০০৬ সালে, "উমরাও জান"-এর আরেকটি রিমেক তৈরি হয়, যেখানে ঐশ্বরিয়া রাই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। জেপি দত্ত পরিচালিত এই ছবিতে অভিষেক বচ্চন, শাবানা আজমি, সুনীল শেঠি, দিব্যা দত্ত, এবং কুলভূষণ খারবন্দার মতো শক্তিশালী অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও ছিলেন। তবে, এই ছবিটি বক্স অফিসে এক বিশাল বিপর্যয়ে পরিণত হয়।
১৫ কোটি টাকার বাজেটে নির্মিত "উমরাও জান" চলচ্চিত্রটি ভারতীয় দর্শকদের মাঝে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি এবং মাত্র ৭.২ কোটি টাকার আয় করতে সক্ষম হয়। এ কারণে, জেপি দত্ত এতটাই হতাশ হয়েছিলেন যে, নতুন কোনো সিনেমা পরিচালনা করতে তাকে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তার পরের কাজ ছিল ২০১৮ সালের "পল্টন", যেখানে জ্যাকি শ্রফ, অর্জুন রামপাল, সোনু সুদ, হর্ষবর্ধন রানে, সোনাল চৌহান এবং এশা গুপ্তা অভিনয় করেছিলেন। তবে, এটিও আরেকটি ফ্লপ সিনেমা হিসেবে পরিণত হয়।
"উমরাও জান"-এর মুক্তির আগে, জেপি দত্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, ঐশ্বরিয়া রাই এই ছবির জন্য তার প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তিনি বলেন, "আমার প্রথম পছন্দ ছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। আমি তাকে উমরাও জান চরিত্রে দেখতে চেয়েছিলাম। তবে শেষ মুহূর্তে আমি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হই, এবং ঐশ্বরিয়াকে নির্বাচিত করি," বলেছিলেন তিনি।
নুসরাত