বলিউডের লাস্যময়ী কাজল নব্বইয়ের দশক থেকে হাজারো দর্শককে তার নিজের অভিনয়গুণে মুগ্ধ করে রেখেছে। তার অভিনীত এরকম সাতটি চরিত্র যা আজও দর্শক ভুলতে পারেনি:
১. মান্দিরা (মাই নে ইজ খান):
একজন সিঙ্গেল মাদার যে তার প্রিয়জনদের পাশে দাঁড়ায়, তার জন্য কাজল ছিল আদর্শ পছন্দ। পুরো সিনেমায় শাহরুখ খানের মূল আকর্ষণ থাকলেও অভিনেত্রী হিসেবে তিনি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আবেদন বজায় রেখেছিলেন।
২.অঞ্জলি (কুছ কুছ হোতা হ্যায়):
১৯৯০-এর দশকে অভিনেত্রীরা যখন অবাধে তাদের মেয়েলি আভা প্রদর্শন করছিলেন, তখন কাজলের টমবয় স্টাইলের চিত্রায়ণ ভারতীয় ভক্তদের অবাক করে দিয়েছিল। কাজল ছিলেন কল্পনাপ্রবণ। এই চরিত্রটি দর্শকের মনে আজও চির সবুজ হয়ে আছে।
৩.প্রিয়া (বাজিগর):
বাজিগর সিনেমাতে কাজল অভিনীত প্রিয়া লাখো দর্শকের মন জয় করেছে। প্রিয়ার নির্দোষতা এবং প্রতিশোধের প্লট পুরো প্যাকেজটি তৈরি করে। প্রিয়া যখন তার নিজের বোনের হত্যাকারীকে সন্ধানে লেগে পড়ে সেতা দর্শকের জন্য ছিলো অন্যতম আকর্ষণের।
৪.ঈশা (গুপ্ত)
কাজলের মতো খলনায়ককে আর কেউ কখনো পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবে না। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি প্রথমবারের মতো নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন। একজন নারীকে এমন চরিত্রে দেখে অবাক হয়েছে বলিউড দর্শকরা।
৫.সিমরান (দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে)
ডিডিএলজে-তে সিমরানের চরিত্রে কাজলের কাজ আজও কিংবদন্তি এবং দর্শকনন্দিত। এক ভারতীয় সংস্কৃতিমনা মেয়ে যে তার পরিবারের সামনে নিজের প্রেমিককে রক্ষা করে এই চরিত্রটি অভিনেত্রী দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করেছেন।
৬.সোনিয়া/নয়না (দুশমান)
এই সিনেমায় কাজল প্রথমবার যমজ বোনের চরিত্রে অভিনয় করার চেষ্টা করেন। নয়না অন্তর্মুখী, কিন্তু যমজ হয়েও সোনিয়া তার পুরোপুরি ভিন্ন। এই চরিত্রটি আজও দর্শক স্মরণ করে।
৭.জুনি (ফানা)
একজন অন্ধ নারীর চরিত্রে আমির খানের বিপরীতে অসাধারণ অভিনয় করেছেন কাজল। গুজব অনুসারে, আমির খান কাজলকে এই সিনেমায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। আর কাজল তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
তানজিলা