সংগৃহীত ছবি।
৭ নভেম্বর মুম্বই ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে একটি উড়ো বার্তা আসে, যেখানে বলা হয়, পাঁচ কোটি টাকা না দিলে সালমান খান এবং তাঁর আসন্ন ছবির ‘ম্যায় সিকন্দর হুঁ’ গানটির গীতিকার সোহেল পাশা-কে খুন করা হবে। এ ঘটনায় বেশ তোলপাড় শুরু হয়ে যায় বলিপাড়ায়।
কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, এই হুমকি বার্তা দেন গীতিকার সোহেল পাশা নিজেই। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৪ বছর বয়সী গীতিকার সোহেল পাশা কর্ণাটকের রায়চুরের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আশায় ছিলেন যে, তাঁর লেখা কোনো একটি গান বেশ জনপ্রিয় হবে, কিন্তু সে জন্য যে তিনি এমন চরম পদক্ষেপ নিতে পারে, তা কেউ ভাবতে পারেনি। পুলিশের দাবি, সালমান খানকে এবং তাঁর গীতিকারকে হুমকি দেওয়ার পেছনে সোহেলের উদ্দেশ্য ছিল—গানটির প্রচার এবং নিজেকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলা।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, ৭ নভেম্বর মুম্বাই ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের হেল্পলাইন নম্বরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন করে ওই হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিল। বার্তায় বলা হয়, ‘‘পাঁচ কোটি টাকা না দিলে সালমান খান এবং সোহেল পাশাকে খুন করা হবে। গীতিকারের অবস্থা এমন হবে যে, তিনি আর কখনও গান লিখতে পারবেন না! যদি সালমান সাহসী হন, তা হলে তাঁকে বাঁচান!’’ এই হুমকি পেয়ে পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে।
পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, বার্তাটি সোহেল পাশাই পাঠিয়েছিলেন। ঘটনাটি সামনে আসার পর, মুম্বই পুলিশের একটি টিম কর্ণাটকের রায়চুরে পৌঁছায়। তদন্তে জানা যায়, যে ফোন নম্বর থেকে বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল, সেই নম্বরের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে সোহেলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর প্রমাণ পাওয়া যায়।
এমন ঘটনায় পুরোপুরি চমকে গিয়ে, পুলিশ অবশেষে সোহেল পাশাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে রায়চুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আদালতে পেশ করা হয় এবং আদালতের নির্দেশে তাকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোহেল পাশা, যিনি একজন উদীয়মান গীতিকার, নিজের লেখা গানটি প্রচার করার জন্য এবং তারকাখ্যাতি লাভের জন্য এই অবৈধ পথ বেছে নিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর, মুম্বাই পুলিশ সাইবার অপরাধের দিক থেকে আরও সতর্ক হয়ে উঠেছে, এবং ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে।
নুসরাত