ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ তারিন জাহা
যখন যে দল ক্ষমতায় সে দলেরই মধু খেয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ তারিন জাহান। অভিযোগ আছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ সরকারের এক মন্ত্রীর সাথে তাঁর ছিলো গোপন সম্পর্ক। যার হাত ধরে হতে চেয়েছিলেন সংসদ সদস্য।
তবে শুধু আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রীদের সাথেই যে সখ্যতা ছিলো তারিনের এমন কিন্তু না। বিএনপির আমলেও ছিলেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রী।
এছাড়াও অভিযোগ আছ, যখন যে দল ক্ষমতায় আসতো তখনই সেই দলের নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়তে
উঠেপরে লাগতেন তারিন।
মিডিয়াপাড়ায় গুঞ্জন নিজের রুপ লাবন্য ব্যবহার করে বিভিন্ন কায়দায় মন্ত্রী এমপিদের সন্তুষ্ট করতেন এই অভিনেত্রী। ব্যাক্তিগত ফায়দা লুটার জন্য এমন কোন কাজ নেই যেটা তিনি করেন নি
১৯৮৫ সালে নতুন কুড়িতে অভিনয়, নাচ এবং গল্প বলা প্রতিযোগীতায় প্রথম হওয়ার পর বিএনপির প্রায় সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত তারিনের। এছাড়াও জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের এক যুগ পুর্তিতে বিশিষ্ট সম্মাননা নেন তিনি।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, তৎকালীন বিএনপির সকল এমপি মন্ত্রীদের সাথেই ছিলো তাঁর দহররম মহররম সম্পর্ক। তবে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি ডিগবাজি দিয়ে হয়ে যান নব্য আওয়ামী লীগার। যোগ দেন বংগবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে
বিএনপির মতোই আওয়ামিলীগেরও যে কোন অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত এই অভিনেত্রীর। এমনকি খুব অল্প সময়েই মন্ত্রী এমপিদের হাত ঘুরে পৌঁছে যান শেখ হাসিনার নজরে। এরপরে সরকারী দলের নেতা বনে মাঠ ঘাট চষে বেড়ান তারিন
রাজনীতিতে ডিগবাজির তকমা পাওয়া তারিন এমপি হওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছেন তবে নোমিনেশন চেয়েও পাননি তিনি। অবশ্য নির্বাচনে তারিন ছাড়াও ছিলো আরও বেশ কিছু তারকা ফলে ঘুরেনি তারিনের ভাগ্যের চাকা।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য হতেও বেশ তোরজোর ছিলো তারিনের। নামও শোনা যাচ্ছিলো বেশ জোরেশোরে। এমপি হতে মন্ত্রী এমপিদের দরজায় কড়া নাড়লেও লাভ হয়নি তারিনের
তবে সব শেষ ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলে এর পর থেকেই। ফোনে কল করলে নাম্বারটিতে কল যাচ্ছে না। গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে হোয়াটস এপ এ নক করা হলেও তিনি কোন ধরণের রিপ্লাই দেননি।
কেউ কেউ বলছেন এমপি মন্ত্রীদের হাত ধরে বিদেশে পারি জমিয়েছেন তারিন। আবার কেউ বলছেন দেশেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বারাত