উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, সুর¯্রষ্টা রুনা লায়লাই দিলশাদ নাহার কণার গানের অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকেই কণা রুনা লায়লার গান শুনতেন এবং সেসব গান গাইতেন। বাবা, মা’সহ পরিবারের সবার প্রত্যাশা ছিলো বড় হয়ে একদিন রুনা লায়লারই মতো গায়িকা হবে। সেই স্বপ্ন আর আশা নিয়েই ছোটবেলা থেকে গানে নিজেকে গড়ে তুলেছেন কণা। গানের ভুবনে পথ চলতে চলতে একটা সময় এসে রুনা লায়লার সঙ্গে দেখাও হয় কণার। রুনা লায়লার আশীর্বাদ নিয়ে কণা যেন আরো অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে গানের ভুবনে নিজেকে আরো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় এগিয়ে যেতে থাকেন।
রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমায় কণার কন্ঠে ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটি দারুণ সাড়া ফেলে। কণার কন্ঠ ও গায়কীর প্রশংসা করে রুনা লায়লা তার নিজের ফেসবুক ওয়ালেও একটি পোস্টও দেন। রুনা লায়লা লিখেছিলেন, কয়েকদিন আগে ‘তুফান’ দেখলাম। ভীষণ উপভোগ করেছি। আমি সিনেমার দুটি গানই পছন্দ করেছি। তবে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ হল ‘দুষ্টু কোকিল ডাকে কু কু কু কু’। মনকাড়া সুর এবং কণা খুব সুন্দর গেয়েছে। পরবর্তী প্রজেক্টের জন্য শুভকামনা। রুনা লায়লার এমন স্ট্যটাস দেখে ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না কণা কি রিপ্লাই দিবেন। কণা বলেন, আমার সারা জীবনের সংগীত জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, সবচেয়ে বড় অর্জন শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডামের আমার গান দুষ্টু কোকিল নিয়ে তার ভালোলাগার কথা তাঁরই ফেসবুকে লেখা। আর এটা পরম সত্যি যে শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা ম্যাডামই আমার গানের অনুপ্রেরণা। রুনা ম্যাডামের কাছ থেকে এই অনুপ্রেরণা পাবার পর আমি যেন আমার গানের প্রতি আরো অধিক মনোযোগী হয়ে উঠেছি। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর রুনা লায়লার ৭০’তম জন্মদিনে কণা রুনা লায়লার সামনেই রুনা লায়লারই একটি গান পরিবেশন করেন। আবার ২০২২ সালেই রুনা লায়লার হাত থেকেই কণা’র মা ‘মা পদক ২০২২’ গ্রহন করেন।-পাণ্ডে
গৌতম//রাজু