ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১

তিন মাস শুটিং সেটে নেই নুসরাত ফারিয়া

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ২০ অক্টোবর ২০২৪

তিন মাস শুটিং সেটে নেই নুসরাত ফারিয়া

ঢালিউডের দর্শকপ্রিয় মুখ নুসরাত ফারিয়া

ঢালিউডের দর্শকপ্রিয় মুখ নুসরাত ফারিয়া। দুই বাংলার পর্দায় মোটামুটি জনপ্রিয় এই নায়িকা। দীর্ঘদিন নতুন কোন ছবিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। শেষ চমক দেখিয়েছিলেন ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায়। এতে তিনি অভিনয় করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরুণ বয়সের চরিত্রে। মূলত সেই সূত্রেই চলমান সময়ে খানিক ব্যাকফুটে আছেন অভিনেত্রী। এ বছরের ১০ জুলাই শো করতে কানাডা গিয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আর কোনো খবরে ছিলেন না তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রীর উপস্থিতি টের পাওয়া গেলেও গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। গণঅভ্যুত্থানের মুখে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রতিনিয়ত কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন এই তারকা। যদিও বৈষম্যবিরোধী বিপ্লবের সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। কানাডা থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭ আগস্ট। ফারিয়ার বয়ানে, যাওয়ার আগেই বলেছিলাম এটা আমার দেড় মাসের সফর। এরমধ্যে অনেকগুলো শোতে অংশ নিয়েছি। তবে দেশে ফিরলেও প্রায় তিন মাসের মতো শুটিং সেটে যাওয়া হয়নি নুসরাত ফারিয়ার। যা যে কোনও বাজার চলতি তারকার জন্য বেদনার। 

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের কাছে নুসরাত ফারিয়ার বক্তব্য বেশ স্পষ্ট। তিনি বলেন, ক্যারিয়ার শুরুর পর এত দীর্ঘ সময় শুটিং সেটের বাইরে থাকিনি। দেশে যখনই কিছু হয় সবার আগে প্রতিক্রিয়াটা পড়ে বিনোদন অঙ্গনের ওপর। আমাদের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা বাদই দিলাম; যারা লাইট, ক্যামেরা, প্রডাকশনে কাজ করে কিংবা যারা দিন চুক্তিতে কাজ করে তাদের কথা ভাবুন। তারা কেউ ভালো আছে বলে মনে হয় না। 

বর্তমান সরকারের এদিকটায় নজর দেওয়া উচিত। সাধারণ শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করলে অন্তত পরিবার নিয়ে তারা বেঁচে থাকতে পারবে। ফারিয়া বলেন,  আমার ক্যারিয়ার ১২ বছরের। ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় দেখেছি। তারা যখন যে ধরনের কাজে ডেকেছে সাড়া দিয়েছি। আসলে আমি তো এখানে টাইম পাসের জন্য আসিনি। এটা রুটি-রুজির জায়গা। 

কাজের প্রস্তাব এলে করবো, এটাই তো নিয়ম। এখন কেউ যদি আমাকে আওয়ামী সমর্থক ভেবে দূরে ঠেলে দেন, কী করতে পারি? যোগ করে তিনি আরও বলেন, আমরা শিল্পী, আমাদের কাজ মানুষকে বিনোদন দেওয়া। সেটাই করে গেছি। কখনও কারও অন্ধ সমর্থক ছিলাম না। যদি সেটা করতাম, মনে সামান্যতম সংকীর্ণতা থাকত, দেশেই আসতাম না। এখন যদি নতুন সরকার তাদের কাজে আমাকে ডাকে, অবশ্যই সাড়া দেবো। ওই যে বললাম, শিল্পীদের কাজ দলাদলি করা নয়, নিজের অভিনয়শৈলী দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নেওয়া।

এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে কীভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি রাজনীতির মানুষ নই। বিচক্ষণতার সঙ্গে তাই বলতেও পারব না। দেশের ছাত্র-জনতা চেয়েছিল বলেই তো পরিবর্তনটা এসেছে। একজন নাগরিক হিসেবে চাইব, যেটা হয়েছে সেটা যেন মঙ্গলের জন্য হয়। আমার বিশ্বাস, মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর পাশাপাশি বিনোদনও যেন হারানো গৌরব ফিরে পায়, সেদিকে খেয়াল রাখবে বর্তমান সরকার।

গৌতম/শহিদ

×