মনি কিশোর। ছবি: সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে শনিবার তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, চার থেকে পাঁচ দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। একসময়ের জনপ্রিয় এই গায়কের মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত নয়।
তবে রামপুরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের দরজা ভেতরের দিক থেকে আটকানো ছিল। কয়েক দিন সেই বাসা থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশীরা। একসময় গন্ধ পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জাতীয় জরুরি নম্বর সেবা ৯৯৯–এ কল দেয়। পরে পুলিশ দিয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়
প্রায় এক দশক আগে মনি কিশোরের সর্বশেষ অ্যালবাম হয়। তবে তিনি মাঝেমধ্যে রেডিও ও টিভিতে পারফর্ম করার পাশাপাশি স্টেজ শোতেও অনিয়মিতভাবে অংশ নিতেন। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন মনি। সঙ্গীতে অনিয়মিত হলেও সেই ব্যবসা তিনি চালিয়ে গেছেন।
এক সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও সেখানে গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত, অডিওতেই কাজ করেছেন সবচেয়ে বেশি।
'কী ছিলে আমার বলো না তুমি', 'আমি মরে গেলে', 'ফুল ঝরে তারা ঝরে', 'মুখে বলো ভালোবাসি', 'আমি ঘরের খোঁজে'- এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গান ভক্তদের উপহার দিয়ে গেছেন কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর।
টুম্পা