বিদ্যা সিনহা মিম
বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এ কারণে নানান ধরনের সচেতনতামূলক কর্মকা-ে অংশ নিয়ে থাকেন এই অভিনেত্রী। এবার শিশুদের সুস্বাস্থ্য কামনায় ইউনিসেফের হয়ে কিছু কথা বলেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। তিনি বলেন, যে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কী? একটাই সঠিক উত্তর আসবে, আর তা হলো শারীরিক সুস্থতা।
আমার খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় বাবার চাকরির সুবাদে দেশের নানা অঞ্চলে বাবার পোস্টিং হয়েছে। সেই সঙ্গে আমাদেরকেও বাবার সঙ্গী হতে হয়েছে। কিন্তু তার পরও বাবা মা যে বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন, সেটা হলো আমার সুস্থতা থাকা। আর সেটা সম্ভব হয়েছে সময়মতো সব টিকা নেবার কারণে। টিকা নেওয়া প্রত্যেকেরই একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষার ঢাল হিসেবে কাজ করে। যাতে সংক্রামক রোগ অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে। টিকা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে এবং মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তবে এটাও সত্যি যে, এখনো প্রায় ১৬ শতাংশ শিশু সময়মতো টিকা পায় না। বিশেষ করে দেশের চর, হাওড় ও পাহাড়ি দুর্গম এলাকার মানুষসহ বস্তি এলাকার, ভাসমান এলাকার শিশুদের টিকা নেওয়ার হার কম। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিটি শিশুর কাছে যেন সময়মতো সব টিকা পৌঁছায় এ জন্য কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম সুস্থ থাকতে পারে। কারণ সকল শিশুর সুস্বাস্থ্যটাই প্রত্যাশা।
১৬ শতাংশ শিশু যেন টিকা সময়মতো পায় এজন্য ইউনিসেফের ফান্ড রাইজিংয়ের জন্যও বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন মিম। ইউনিসেফ সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক পরিচিত এবং দৃশ্যমান সামাজিক কল্যাণ সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি, ১৯২টি দেশ এবং অঞ্চলে কাজ করে। ইউনিসেফের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে টিকা প্রদান এবং রোগ প্রতিরোধ, এইচআইভি আক্রান্ত শিশু ও মায়েদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, শৈশব ও মাতৃত্বের পুষ্টি উন্নত করা, স্যানিটেশনের উন্নতি করা, শিক্ষার প্রচার।
এদিকে মিম এরই মধ্যে শেষ করেছেন ওয়াহিদ তারিকের পরিচালনায় ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমা। এর প্রযোজনা করেছেন শমী কায়সার। এই সিনেমায় মিম প্রখ্যাত সাংবাদিক, লেখক শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। মিম সর্বশেষ তুমুল আলোচনায় আসেন রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ সিনেমাতে অভিনয় করে। এই সিনেমায় তার অনবদ্য অভিনয় দর্শককে দারুণভাবে মুগ্ধ করে।
তার অভিনয় জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবেও বিবেচিত হয় এই সিনেমাটি। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন শরীফুল রাজ ও ইয়াশ রোহান। বলা যায় সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রাঙ্গন ব্যবসায়িকভাবে নতুন করে চাঙ্গা হয় মিম অভিনীত ‘পরাণ’ সিনেমা নিয়েই। এর পর ‘হাওয়া’,‘ প্রিয়তমা’,‘সুড়ঙ্গ’, ‘রাজকুমার’,‘তুফান’ সেই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হয়।
