অজয়
২০১১ সালে মুক্তি পায় বলিউড সিনেমা ‘সিংঘাম’। বক্স অফিসে সাফল্যের পর ২০১৪ সালে আসে ‘সিংঘাম রিটার্নস’। এবার ১০ বছর পর মুক্তি পেতে চলেছে ‘সিংঘাম অ্যাগেইন’। এতে স্ত্রীকে উদ্ধার করতে অজয়ের নতুন অভিযান। ট্রেইলারে সেটিই দেখা গেছে। বাজিরাও সিংহমের স্ত্রী অবনীর ভূমিকায় দেখা গেছে কারিনা কাপূর খানকে, যাকে অপহরণ করা হয়। ‘সিংঘাম’ বলতেই বুঝি ভরপুর অ্যাকশন। এবারও যা মাত্র পাঁচ মিনিটের ট্রেলারে সেটি মিলেছে।
প্রচারের শুরু থেকেই অ্যাকশন ছাড়াও রয়েছে একাধিক চমক। পরিচালক সমকালের প্রেক্ষাপটে ‘রামায়ণ’-এর মূল স্বর রয়েছে গল্পের মধ্যে, এসেছে শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গও। বাজিরাও যদি রামচন্দ্র হন, সেখানে টাইগারের চরিত্রকে লক্ষণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। হনুমানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ‘সিম্বা’ রণবীর সিংহকে। জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজির খল চরিত্র রয়েছেন অর্জুন কপূর। তাকে ‘রাবণ’ বলেই উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারের ঝলকে। জ্যাকি শ্রফের চরিত্র রয়েছে রহস্যে ঘেরা। দীপিকা রয়েছে ‘লেডি সিংঘাম’-এর ভূমিকায়।
এই প্রথম কোনো মহিলা পুলিশের চরিত্রকে নিয়ে এলেন রোহিত। ভরপুর অ্যাকশনের পাশাপাশি রণবীরের কমেডি ছবির অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। সব শেষে দেখা মেলে ‘সূর্যবংশী’ অক্ষয় কুমারের। ১ নভেম্বর ২০২৪ ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। এ সিনেমার শূটিংয়ে আহত হয়েছেন অজয় । তখন শূটিং চলছিল ভারতের মুম্বাইয়ে। সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটে। মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লেতে একটি অ্যাকশন দৃশ্যের শূটিং করছিলেন অজয়। স্ট্যান্ড করতে গিয়ে চোখে চোট লাগে তার।
মারামারির দৃশ্যে অভিনয় করার সময় ভুল করে অজয়ের চোখে আঘাত লাগে। পরিচালক রোহিত শেট্টি যখন অন্য দৃশ্যের শূটিং করছিলেন, তখন অজয় বিশ্রাম নেন। তার পরপরই শূটিং শুরু করেন অভিনেতা, এই আঘাতের কারণে তার এবং অন্যদের শিডিউলের কোনো প্রভাব পড়েনি।
‘সিংঘম অ্যাগেইন’ থেকে অজয় দেবগনের ফার্স্ট লুক প্রকাশ করেন শেট্টি। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘শের আতঙ্ক মচাতা হ্যায়, ঔর জখমি শের তাবাহি! সবার প্রিয় পুলিশ, বাজিরাও সিংঘম ইজ ব্যাক!’
২০২৩ সালে, রোহিত শেট্টি বলেছিলেন যে ‘সিংঘাম অ্যাগেইন’-এ দীপিকাকে প্রধান চরিত্রদের একজন হিসাবে দেখা যাবে। তিনি বলেছিলেন, “তিনি একজন নায়কের মতো এবং আমরা এটি নিয়ে যা করছি তা হলো আমরা তার গল্প নিয়ে এগোব। আমরা এমন একটি ফিল্ম বানাব, যেখানে শুধু দীপিকা থাকবে। এটি তার গল্প হবে সূর্যবংশী, সিংহম এবং সিম্বার মতো, চলচ্চিত্রগুলো ইতোমধ্যেই তৈরি করা হয়েছিল এবং লোকেরা সেগুলো সম্পর্কে জানত কিন্তু সিংঘমের সঙ্গে আমরা আবার এই চরিত্রগুলোর সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি এবং তারপরে আমরা তাদের গল্প আলাদা ভাবে বলব।’’