মনির খান
একজন শিল্পীর জন্য এটি কখনো কাম্য নয়। কালো তালিকার মধ্য দিয়ে একজন শিল্পীকে সিল মেরে দেওয়া হয়। স্বাধীনভাবে গান করার সুযোগ থাকে না সে শিল্পীর। আমি ১৫ বছর পর সম্প্রতি বেতারে গান করেছি। অথচ বিষয়টি এমন হওয়ার ছিল না। একজন শিল্পী নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর নন। তার যে কোনো দলের প্রতি ভালো লাগা-ভালোবাসা থাকতে পারে। সে জন্য তাকে কালো তালিকা করতে হবে- এটি উচিত নয়।
এ সময়ে শিল্পীদের স্টেজ শো নেই বলে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন...
জুলাই থেকে দেশে স্টেজ শো আগের মতো হচ্ছে না। এ কারণে অনেক শিল্পী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের নানা রকম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সত্যি বলতে, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত আমাদের শিল্পীদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। গত কয়েক বছর করপোরেট শোগুলোর বাইরে স্টেজ শো বেশির ভাগ রাজনৈতিক লোকজনই আয়োজন করে আসছে। এখন যেহেতু নির্বাচিত সরকার নেই, তাই এ ধরনের শো বন্ধ আছে।
নতুন এক বাংলাদেশে নতুন সরকারের দুই মাস শেষ। এ সময়টাকে কীভাবে দেখছেন?
দেশের সাধারণ মানুষকে প্রাণ খুলে কথা বলতে দেখছি। মানুষের ভেতর থেকে ভয় দূর হয়ে গেছে। গত পনেরো বছর মানুষ অনেক কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনি। তারা এখন স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে।
এ সময়ে দেশে কতটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন?
দীর্ঘদিনের নানা রকম দুর্নীতি অল্প সময়ে পরিবর্তন সম্ভব না। কিন্তু এটি সত্যি, আমাদের জায়গা থেকে আমরা যদি সৎ থাকি, তাহলে সব কিছুতেই পরিবর্তন আসবে। সুন্দর একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে পারব। তরুণ প্রজন্ম যে উদ্দেশ্যে দেশটাকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে, সেটাকে বিফল হতে দেওয়া যাবে না।
একজন শিল্পীর জন্য মৌলিক গানের গুরত্ব কতটুকু?
নতুনদের মৌলিক গানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কভার সং করে কখনো নিজের পরিচয় তৈরি করা যায় না। এ ছাড়া আমাদের এখনো অনেক গুণী গীতিকার ও সুরকার আছেন, তাদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করলে অনেক কিছু জানা ও শেখা যায়।