এসএম সুলতানের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালায় শিল্পীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে কুরআন খতম, শিল্পীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, শিশুদের অংকিত চিত্র প্রদর্শনী, শিল্পী জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ এবং গ্রামীণ লোক সংগীত পটগান। এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার কিউরেটর চিত্রশিল্পী তন্দ্রা মুখার্জী জানিয়েছেন প্রশাসনের দুর্গাপূজার বিভিন্ন কর্মসূচির কারণে এবার অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
চিত্রশিল্পের খ্যাতি হিসেবে শিল্পী সুলতান ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।
সৃষ্টিশীল এই শিল্পী নড়াইলের পুরুলিয়ায় ১৯৫৫-৫৬ সালে ‘নন্দন কানন ফাইন আর্ট অ্যান্ড স্কুল, ১৯৭৩-৭৪ সালের দিকে যশোর এম এম কলেজের একটি পুরনো হোস্টেলে একাডেমি অব ফাইন আর্ট স্কুল, ১৯৭৮ সালের দিকে জন্মস্থান নড়াইলের মাছিমদিয়ায় ফাইন আর্ট স্কুল এবং ১৯৮৭ সালে নড়াইলের কুড়িগ্রামে ‘শিশুস্বর্গ নামে শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।