লতিকা
বাংলাদেশের বিলুপ্ত এক সম্প্রদায় নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘লতিকা’। এটি এখন আজারবাইজানের ডকুবাকু আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবের দুটি বিভাগে প্রতিযোগিতা করছে। ১১ নভেম্বর থেকে দেশটির বাকু শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৯তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ-২৯)। ‘লতিকা’ নির্মাতা সামছুল ইসলাম স্বপন জানিয়েছেন, ডকুবাকু উৎসবে অংশ নেওয়ার সূত্র ধরে ছবিটি কপ-২৯ সম্মেলনেও যুক্ত হলো।
নির্মাতা জানিয়েছেন, আজারবাইজানের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কপ-২৯ সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য তিনটি চলচ্চিত্র মনোনীত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ‘লতিকা’, রাশিয়ার ‘অ্যাগেইনস্ট দ্য উইন্ড’ এবং বেলজিয়ামের ‘অন মেল্টিং স্নো’। স্বপনের ভাষায়, কপ-২৯ সম্মেলনে প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত হওয়াও আমি খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ৪ বছর ধরে বাংলাদেশের বিলুপ্ত প্রাণী, কমিউনিটি এবং জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করে চলেছি।
সেই বিবেচনাতেও এই সুযোগটি আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাতা জানান, তার দাতব্য উন্নয়ন সংস্থা ‘ক্ষ’র পরিচালক দেবাশীষ বাইনসহ তিনি কপ-২৯ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন ‘লতিকা’ প্রদর্শনীর সুবাদে। ‘লতিকা’র গল্প বাংলাদেশের নড়াইল জেলার চিত্রা নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী মালো সম্প্রদায়ের এক সংগ্রামী নারী ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে।
তার স্বামী শ্যাম বিশ্বাস ভোঁদড় প্রাণী দিয়ে মাছ শিকার করা জেলে। তাদের দুই সন্তান এবং তিন জোড়া ভোঁদড় নিয়ে টানাপোড়নের সংসারের জীবনচিত্র উঠে আসে এই প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। কপ-২৯ সম্মেলনের পর্দা নামবে ২২ নভেম্বর, ২০২৪।