.
দেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকা মেহজাবীন চৌধুরী। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মাকসুদ হোসেন। টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সৌরভ ছড়িয়ে এবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সৌরব ছড়াচ্ছে ছবিটি। এ উৎসবের লাল ব্যানারে সবুজ শাড়িতে মেহজাবীন মুগ্ধতায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ‘সাবা’ এখন ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে প্রদর্শিত হচ্ছে। উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয় ৪ অক্টোবর। ছবিটি প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন।
প্রিমিয়ারে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে তোলা বেশ কয়েকটি ছবি অভিনেত্রী শেয়ার করলেন ফেসবুকে। সোমবার ‘সাবা’ সিনেমার একটি প্রদর্শনী হয় এবং আগামীকাল বুধবারও একটি প্রদর্শনী হবে। বুসানে অংশ নিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী কতটা মুগ্ধ, সেটির প্রতিচ্ছবি মিলেছে তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলের মাধ্যমে। মিস চৌধুরী বলেন, আমাদের সিনেমা এখানে প্রদর্শন করতে পারা অনেক বড় সম্মানের বিষয়। ছবিটি দেখে এখানকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় আমি মুগ্ধ। মেহজাবীন চৌধুরী ২০২২ সালে বুসানের এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে স্থান পায় ‘সাবা’। ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকোভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয় ছবিটি। টরন্টোর স্কটিয়া ব্যাংকে গত ৭ সেপ্টেম্বর এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর আগেই সাংবাদিকদের জন্য ছিল একটি প্রদর্শনী। একই ভেন্যুতে ৯ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর এই সিনেমার আরও দুটি টিকিট প্রদর্শনী হয়েছে। সব কটি’তে অংশ নিয়েছেন মেহজাবীন, ছবিটির অভিনেতা মোস্তফা মনোয়ার ও পরিচালক মাকসুদ হোসেন। ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দৈর্ঘ্যরে গল্পটিতে দেখা যায়, ২৫ বছর বয়সী সাবা ঢাকায় মাকে নিয়ে থাকে। তার মা শিরিন একটি দুর্ঘটনার পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।
সংসারের হাল ধরতে চাকরি করে সাবা। এদিকে শিরিন হার্ট অ্যাটাক করলে তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সাবার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। মায়ের অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা কীভাবে জোগাড় করবে সেসব ভেবে দিশাহারা হয়ে যায় সাবা। এর মধ্যে মেয়েটির জীবনে আশার আলো হয়ে আসে অঙ্কুর। এদিকে ২ অক্টোবর শুরু হয়েছে ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।