.
স্বামী-স্ত্রীর চিরন্তন সম্পর্ককে বলা হয় অম্লমধুর সম্পর্ক। প্রতিনিয়ত খুনসুটি, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নায় পার হয়ে যায় পাশাপাশি থাকা সময়গুলো। সংসার জীবনে প্রেমে পড়তে হয় বারবার, নতুন করে, নতুন রূপে উভয় মানুষের। স্বামী-স্ত্রীর বহুবিধ টানাপোড়েনে যাপিত জীবন হলো ‘স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া’ নাটকের প্রতিপাদ্য। বহর নাট্যদল প্রযোজিত এ নাটকটি মঞ্চায়ন হবে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত নজরুল উৎসবের শেষ দিন আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। ‘স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া’ নাটকের নির্দেশক রোমন ইসলাম প্রীতম বলেন, পরিবেশনারীতিতে লেটো ও আলকাপের সঙ্গে অনেকাংশেই মিল খুঁজে পাওয়া যায়, দুটো বেশ কাছাকাছি। হয়তো একটি ঘরানাই ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে ভিন্ন দুটি নাম ধারণ করেছে। আলকাপের মতোই যে কোনো একটি বিষয়কে হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপন করে লেটো।
লোক আঙ্গিকের বেশিরভাগ ধারাগুলোই সম্পন্ন হয় নৃত্য, গীত, বাদ্য ও অভিনয়ের মাধ্যমে। লেটো ও এর ব্যতিক্রম নয়। নজরুলের নজরুল হয়ে ওঠার শুরুটা এই লেটোর হাত ধরে, যা সময়ের পরিক্রমায় বিশাল থেকে বিশালতায় পৌঁছেছে। বঁাঁশরী আয়োজিত নজরুলের লেটো পালা পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরে বহর গর্বিত। লেটোর আদিরূপটি বজায় রেখে ‘স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া’ পালাটি সম্পন্ন করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। সে সময়কার নৃত্যআঙ্গিক, অভিনয়রীতি, চরিত্র রূপায়ণ এবং সর্বোপরি উপস্থাপন পদ্ধতির একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান বলেন, বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক সময়ে নাটকের চর্চা যখন অনেকটা স্তিমিত তখন বাঁশরীর এই আয়োজন নিঃসন্দেহে সাহসী ও অনেক আশাব্যঞ্জক। আশা করছি, গত দিনের মতো আজকের এই উৎস প্রতিটি পরিবেশনা দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দেবে।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সজীব, জিয়া, প্রীতম, সাগর, তূর্য, আলীম, নয়ন, বাহাদুর, রিফাতসহ অনেকে। নাটকটির নৃত্যে প্রীতম, সাগর, সংগীতে মো. শাকুর, সজীব, নাইস, বীথি, পোশাক ফারহিন দিঠি এবং তত্ত্বাবধানে কামরুল হাসান ফেরদৌস।