জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। একটি রিয়েলিটি শোতে চ্যাম্পিয়ন হবার সুবাদে মিডিয়াতে যাত্রা শুরু। এরপর গুণী নাট্যনির্মাতাদের নাটকে অভিনয় করে করে দীর্ঘ এক দশকের অভিনয় জীবনের পথচলায় হিমি এখন এই প্রজন্মের নাট্যাভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম সারির একজন অভিনেত্রী। আজ হিমির জন্মদিন। হিমি বলেন, আমার হয়ত তারকাখ্যাতি এসেছে জীবনে। কিন্তু এটাও সত্যি যে আমার দায়িত্ব আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। আগে একজন পরিচালক নায়কের সঙ্গে কথা বলে আমার সঙ্গে শুধু ডেট নিয়ে কথা বলতেন।
এখন পরিচালকরা আমার সঙ্গেও গল্প নিয়ে কথা বলেন, আলোচনায় বসেন। স্টোরি টেলিংটা আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সেটা বলার এখন সুযোগ থাকে। এই যে আমার সঙ্গেও আলোচনা করার যে বিষয়টা এটা আমি এখন বেশ উপভোগ করি। প্রোডাকশনের যেন সর্বোচ্চ ভালো হয় আমি সেই দিক নির্দেশনা বা আলোচনাটা করি। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং আমার সকল প্রযোজক পরিচালকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। কারণ সবার দোয়া, সহযোগিতায় আমি আমার ক্যারিয়ারের এক দশক চমৎকারভাবে পার করতে পারছি।
তিনি বলেন, আমি সবসময়ই আমার আব্বু আম্মুকে সঙ্গে নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করি, এটাই আমার বেশি ভালো লাগে। কিন্তু এবার আসলে বেশ কয়েকজন পরিচালকের পরামর্শে জন্মদিনটি একটু বিশেষভাবে উদযাপন করতে যাচ্ছি। আমার স্কুল কলেজ জীবনের বেস্ট ফ্রেন্ড থাকবে কয়েকজন। আর বাকি সব মিডিয়া রিলেটেড নানান সেক্টরের অতিথি উপস্থিত থাকবেন।
প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় এই অভিনেত্রী তার দশ বছরের অভিনয় জীবনে একটি সিনেমাতেই অভিনয় করেছিলেন। নাম ‘হঠাৎ দেখা’। এটি নির্মাণ করেছিলেন রেশমী মিত্র। হিমির বিপরীতে বেশিরভাগ নাটকেই অভিনয় করেন এই প্রজন্মের আলোচিত অভিনেতা নিলয় আলমগীর। সর্বশেষ তাদের দুজনের সুপার হিট নাটক হলো মহিন খানের ‘কিস্তির স্যার’। এরইমধ্যে প্রকাশ হয়েছে মাহমুদ হাসান রানা পরিচালিত নিলয় হিমি অভিনীত ‘আমার একজন মানুষ আছে’ নাটকটি।
চ্যানেল আই প্রাইমে প্রকাশিত এই নাটকটিও দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে। হিমি জানান, এরইমধ্যে তিনি মহিন খান, আদিবাসী মিজান, শহীদ উন নবী, এস আর মজুমদার, মাহমুদ হাসান রানাসহ আরও বেশ কয়েকজন পরিচালকের নাটকে কাজ করেছেন। সবগুলো নাটকেই তার বিপরীতে আছেন নিলয় আলমগীর।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিপ্লব সাহার উদ্যোগে রং আরটিভি টুয়েন্টি টুয়েন্টি কালারস মডেল সার্চ প্রতিযোগিতায় হিমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ‘মোহর আলী’ (ধারাবাহিক)। এটি নির্মাণ করেছিলেন শঙ্কর চন্দ্র। নিলয়ের সঙ্গে প্রথম নাটক ছিল ওয়ালিদ হাসান পরিচালিত ‘জলে ভেজা রং’।