‘সেতুবন্ধ’ নাটকের একটি দৃশ্য
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের শক্তি, আমাদের মুক্তি’ সেøাগানে দুইদিনব্যাপী নজরুল উৎসবের আয়োজন বাঁশরী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুইদিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন হবে আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে থাকছে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় নজরুল সংগীত ও আবৃত্তি এবং নজরুল বিষয়ক প্রদর্শনী।
এদিন সন্ধ্যা ৭টায় মঞ্চায়ন হবে বাঁশরী রেপারেটরি থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক ‘সেতু বন্ধ’। কাজী নজরুল ইসলামের রচনা ও বাঁশরী প্রযোজিত ‘সেতুবন্ধ’ নাটকটির নির্দেশক গোলাম সারোয়ার বলেন, প্রত্যেক নাট্যকারের নাটকে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকে। কবি নজরুলের নাটকের বেলায় থাকবে না তা তো নয়। ‘সেতুবন্ধ’ কবির একটি অনবদ্য সৃষ্টি। এ নাটকে কবিতা, গান, আবৃত্তি, নৃত্যের সমন্বয়ে মিলেমিশে একাকার হয়েছে। অথচ তা নৃত্যনাট্য নয়, আবার গীতিনাট্যও বলা যাবে না। এমনি একটি অসাধারণ নাটক মঞ্চায়নের দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় যুক্ত হয়েছি।
বাঁশরীর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান বলেন, মানবতার কবি সংগীতজ্ঞ ও উপন্যাসিক কাজী নজরুল ইসলামের নাট্যজীবন আমাদের কাছে অনেকটাই অজানা। কবি রচিত নাটকের ভাণ্ডার অনেক সমৃদ্ধ। কবির নাট্যভান্ডারকে সকলের সামনে উন্মোচন করা এবং লুপ্তপ্রায় লেটো আঙ্গিককে আধুনিক সময়ে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় আমাদের এই আয়োজন। কবি রচিত ‘সেতু-বন্ধ’ একটি প্রকৃতি সচেতনতামূলক নাটক। নাটকটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে নদীর প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করলে তা সমাজের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনে না, বরং ভয়ংকর পরিণতি বয়ে নিয়ে আসে। নাটকটি অত্যন্ত আধুনিক, বর্তমান সময়ের জন্যই যেন লেখা হয়েছিল।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল শনিবার ময়মনসিংহের নৃত্যদল পরিবেশন করবেন নৃত্যনাট্য ‘বনের বেদে’। বেদেদের জীবন কাহিনী নিয়ে রচিত নজরুলের গীতি আলেখ্য। নৃত্যনাট্যের পর একই মঞ্চে পরিবেশিত হবে ঢাকার শান্তা-মারিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বহর’ নাট্যদলের ‘স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া’। এটি নজরুল রচিত একটি হাসির নাটক।