ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১

নতুন ন্যান্সি

আনন্দকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:৪১, ৩ অক্টোবর ২০২৪

নতুন ন্যান্সি

নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। চলতি বছরে ন্যান্সিকে হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে ‘জোনাক জ্বলে’, হৃদয় খানের সঙ্গে ‘আলিঙ্গন’, এহসান রাহির সঙ্গে ‘সাতটি মাস’ ও কিশোর দাসের সঙ্গে ‘শুধু দু’জনার’ গানগুলোতে পাওয়া গেছে। ভালোবাসা দিবসে এ গানগুলো প্রকাশ হয়। একসঙ্গে অনেকগুলো গান দিয়ে ন্যান্সি অনেকটাই চেনা ছন্দে ফেরেন। তবে এখন তিনি পুরোই বেশ খোশ মেজাজে আছেন বলা যায়।

সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে নিজেকে এখন রঙিন বলেও দাবি করেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার বদলের পর শোবিজেও দারুণ পরিবর্তন এসেছে। শোবিজের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে মেধাবী ও যোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ সুকণ্ঠী গায়িকাও সঠিক মূল্যায়ন পেলেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২৩ এর জুরি বোর্ডের সদস্য হয়েছেন তিনি।
ন্যান্সি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে ভীষণ সম্মানিত বোধ করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যারা আমাকে এই কাজে উপযুক্ত মনে করেছেন। একইসঙ্গে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি। এরই মধ্যে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বসার ও আলোচনার সুযোগ হয়েছে। আশা করছি আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য ভালো কিছু করতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, আমার ওপর দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করব। গত কয়েক বছর এমন সব গানের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে যেটি শ্রোতারাও ঠিকমতো শোনেনি। এবার আর তেমনটি হবে না।

সঠিক গানের জন্য সঠিক গীতিকার-শিল্পী বা যোগ্য মানুষই পুরস্কার পাবেন। কারও কাছে সঠিক মনে না হলে জবাবদিহি চাইবেন।’ এদিকে এক বছর পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর ন্যান্সি একটি টিভি লাইভে অংশ নিয়েছেন বলে জানান। এর মধ্যে তাকে আর কোনো টিভি চ্যানেলে দেখা যায়নি। ক্যারিয়ার নিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর একটি বিশেষ মহল আমাকে নানাভাবে কাজ থেকে দূরে রেখেছে। আমার নামের সঙ্গে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়েছে। আমি কাজ করার সুযোগ পাইনি। অনেক স্টেজ শো সব ঠিক থাকার পরও আগের দিন আমাকে সেটি ক্যান্সেল করতে হয়েছে।

টেলিভিশন-রেডিওতে আমাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।’ স্বৈরাচার সরকারের পতনে সাধারণ মানুষের মতো ন্যান্সিও বেশ উচ্ছ্বসিত। তার ভাষ্য, গত ১৫ বছর মানুষ তার কথা বলার অধিকার হারিয়েছে। একটা কিছু হলেই পুলিশ হয়রানি-রাজনৈতিক হয়রানির শেষ থাকত না। আমি নিজেই তার সাক্ষী। এখন মানুষ মন খুলে নিজের অধিকারের কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। আমি বরাবরই আশাবাদী মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, যে স্বপ্ন নিয়ে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবে।

×