ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১

মা ছিলেন কাজের মহিলা, মেয়ে এখন কোটিপতি

প্রকাশিত: ০১:১১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মা ছিলেন কাজের মহিলা, মেয়ে এখন কোটিপতি

ভারতী

কৌতুক অভিনেতা ভারতী সিং, ইন্ডাস্ট্রিতে নিজগুণে জায়গা তৈরি করেছেন। একটি রিয়েলিটি শো-এর প্রতিযোগী হওয়া থেকে ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত কৌতুক অভিনেতাদের মধ্যে একজন তিনি।

তবে এই জার্নি কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না তার। এক সাক্ষাৎকারে ভারতী বলেছেন, তিনি খুব দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছেন। এতটাই খারাপ ছিল যে অভিনেত্রী এবং তার পরিবারকে খুব কষ্ট করে বেঁচে থাকতে হয়েছিল।

ছোটবেলাতেই বাবাকে হারান ভারতী সিং। মা পরিচারিকার কাজ করতেন। ছোটবেলাটাই সংগ্রাম করা তার পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা ছিল। এ ভারতী এখন কোটিপতি। নিজের প্রতিভার জোরে মন জয় করেছেন, তার সুবব্যহারে বুঁদ গোটা দুনিয়া।

একসময় ডাস্টবিন থেকে আপেল কুড়িয়ে খাওয়া ভারতী সিং এখন কোটিপতি। মুম্বাইয়ের কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ভারতীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ এই মুহূর্তে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা। রয়েছে নিজের গাড়ি-বাড়ি। স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া ও ছেলে গোলাকে নিয়ে সুখের সংসার করছেন তিনি।

নিজের সংগ্রামের কথা জানাতে গিয়ে ভারতী সিং বলেন, দেখতাম অনেকে অর্ধেক আপেল খেয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিচ্ছে। মনে হত বার করে ওই অর্ধেকটা খেয়ে নিই। এতটাই গরীব ছিলাম আমরা। কোনো উৎসব আসত আর আমার মন খারাপ হয়ে যেত। পাড়ায় অন্য বাচ্চারা বাজি ফাটাত। আমরা গিয়ে হাততালি দিতাম যাতে সবাই ভাবে ওই বাজিটা আমার, আমি জ্বালিয়েছি।’

মা অন্যের ঘরে কাজ করত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি টয়লেট সাফ করতেন। তারপর কাজের বাড়ি থেকে বেঁচে যাওয়া সবজি-রুটি মা’কে দিত। ওদের ওই বাসি রুটি আমাদের কাছে টাটকা। আমরা ভীষণ খুশি হয়ে যেতাম।’

‘খতরো কে খিলাড়ি’র এই তারকা বলেন, ‘যখনই কোনো উৎসব হত বাচ্চারা খুশি হত, আর আমি হতাশ হতাম। কারণ একটাই, আমাদের কাছে কিচ্ছু নেই। মা যখন কাজের বাড়ি থেকে মিষ্টি আনতেন, তখন আমরা দীপাবলির পুজা করতে পারতাম। আমি রাস্তায় বাচ্চাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তাদের পটকা পোড়াতে দেখে হাততালি দিয়েছি।’

এবি

×