ব্রিটনি স্পিয়ার্স
মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বায়োপিক নির্মাণ করছেন জন এম চু। অল্প বয়সে পাওয়া তারকাখ্যাতি, সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা, বাবার অভিভাবকত্ব নিয়ে দীর্ঘ লড়াই সব মিলিয়ে ব্রিটনির জীবন ঘটনাবহুল। তার আত্মজীবনী দিয়ে সাজানো গতবছর প্রকাশিত ‘দ্য উইমেন ইন মি’ নামের বই। যা বিক্রয়ও হয়েছে অনেক। বইটিতে ব্রিটনি ছোট্ট একটি ‘মিকি মাউস ক্লাব’ থেকে পপ সুপারস্টারডমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্ট্রাগলের কথাগুলো তুলে ধরেছেন অসাধারণ উদারতা এবং হাস্যরসের মাধ্যমে। বইটি নিষ্ঠুরভাবে সৎ ছিল এবং প্রাক্তন প্রেমিক জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে নির্মোহভাবে উঠে এসেছিল। সেই বই অবলম্বনে এবার নির্মাণ হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। মার্কিন চলচ্চিত্রবিষয়ক সাময়িকী ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ব্রিটনির বায়োপিক নির্মাণ করবেন জন এম চু এবং এটি প্রযোজনা করছেন মার্ক প্লট।
নিজের বায়োপিকের কথা সরাসরি না জানালেও এক্স-এ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গায়িকা। ব্রিটনি লিখেছেন, আমি রোমাঞ্চিত যে, একটা গোপন প্রজেক্টে যুক্ত হয়েছি। খবরটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পেরে ভালো লাগছে। সঙ্গে থাকুন। পোস্টে প্রযোজক মার্ক প্লটকে মেনশন করে ব্রিটনি জানান, তিনি সবসময় আমার পছন্দের সিনেমা বানান। এদিকে আত্মজীবনী প্রকাশের সময় ব্রিটনি বলেছিলেন, আমি এই স্মৃতিকথায় আমার হৃদয় এবং আত্মা ঢেলে দিয়েছি। বিশ্বজুড়ে আমার ভক্ত এবং পাঠকদের কাছে তাদের অটল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গতবছরের ২৪ অক্টোবর প্রকাশিত হয় ব্রিটনির জীবন নিয়ে লেখা বই ‘দ্য উইমেন ইন মি’।
বইটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ২৫ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়। বহুল চর্চিত এই বইয়ের স্বত্ব কিনে নিয়েছে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ইউনিভার্সাল পিকচার্স। বই প্রকাশের আগে এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটনি বলেছিলেন, আমি বইয়ে মন খুলে সব বলেছি। আমার ভক্ত ও পাঠকদের ধন্যবাদ এতটা ভালোবাসা দেওয়ার জন্য।
কয়েক বছর ধরেই সংগীত ব্যক্তিত্বদের জীবন পর্দায় নিয়ে এসে প্রশংসা কুড়িয়েছে ইউনিভার্সাল পিকচার্স। ২০১৫ সালে এই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত হয় হিপহপ ব্যান্ড এন ডব্লিউ একে নিয়ে সিনেমা স্ট্রেইট কোটা কম্পটন, যা বক্স অফিসে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যবসা করে। ২০০২ সালে একই প্রযোজনা সংস্থার সিনেমা ৮ মাইলও বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছিল। সিনেমাটি ছিল গায়ক এমিনেমকে নিয়ে। এই সিনেমা দিয়েই অভিনয়ে অভিষেক হয় এমিনেমের।
অনেকদিন ধরেই গানে নেই ব্রিটনি স্পিয়ার্স। ২০২১ সালে বাবার অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি পান গায়িকা। ১৩ বছরের বন্দিদশা থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। মার্কিন এই পপ তারকার ওপর থেকে তার বাবা জেমস স্পিয়ার্সের আইনি অভিভাবকত্ব তুলে নেন আদালত। এর পর থেকে ইনস্টাগ্রামে কেবল বিনোদনধর্মী কনটেন্ট পোস্ট করেছেন গায়িকা। এর মধ্যে এক সাক্ষাৎকারে এমনও বলেছেন, আবার তার গানে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।