এডিসি সাকলায়েন ও নায়িকা পরিমণি।
অভিনেত্রী পরীমণির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে চাকরি হারাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েন। তবে এই পুলিশ কর্মকতা কারো ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়ে চাকরি হারাচ্ছেন বলে মনে করে আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি।
‘চাকরি হারাচ্ছেন সাকলায়েন’ এমন খবর প্রকাশের পর মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পরীমণি।
সাকলায়েনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এই নায়িকা বলেন, ‘সম্পর্কের বিষয় যদি আসে, এটা তো একজনের ব্যাপার না, দুজনের পক্ষ থেকেই আসে। এখন পর্যন্তও আমাদের সম্পর্কটা তো মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়। আমরা প্রেমে ছিলাম, নাকি কী করছি, কোনো কিছুই তো পরিষ্কার নয়। এটা না সাকলায়েনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, না আমার কাছে। সবখানে মনগড়া জিনিস লেখা হয়েছে, জানাজানি হয়েছে। এটা যদি ঠিকঠাকভাবে জানতে হয়, দুই পক্ষ থেকেই জানতে হবে। যেহেতু তার বিষয়েও আমি এখন পর্যন্ত কিছু বলিনি, আমার বলার মতো পরিস্থিতি আসেও নাই বা আমি কোনো রকম বাধ্যও হইনি। তবে যদি এ রকম মনে হয়, আমাকে নিয়ে কথা বলছে, আমাকে অপরাধী বানাচ্ছে, তারপর আমি কথা বলব।’
চাকরি হারানোর বিষয়ে পরীমণি বলেন, ‘হয়তো কোনো ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সাকলায়েনের সঙ্গে এমনটা হচ্ছে, এটা হলে সে দোষ তো আর আমি নেব না। তবে অবশ্যই ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার তিনি। সাধারণত যে ট্যালেন্ট, সফল হয়- তার পেছনে অনেকেই লেগে থাকে। এটা নতুন কিছু না। নিঃসন্দেহে সাকলায়েন একজন ট্যালেন্ট ও সফল মানুষ, ওর পেছনেও অনেকে হয়তো লেগেছিল। তার এখনকার বরখাস্ত হওয়ার ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত। এটা খুবই অন্যায় হয়েছে। সাকলায়েনের প্রতি নিঃসন্দেহে অন্যায় হয়েছে।’
সাকলায়েনের সঙ্গে কেন অন্যায় হয়েছে জানতে চাইলে পরী বলেন, ‘যদি আমার সঙ্গে কোনো সম্পর্কের কারণে এমনটা হয়েছে বলা হয়, তা তো নিঃসন্দেহে অন্যায়। কোনো সম্পর্কের জন্য এটা হতেই পারে না। তবে আমাদের সম্পর্কটা কেমন, কতটুকু আগাইছে, কী আগাইছে, কোথায় থেমেছে এই সম্পর্ক—কিছুই বলতে পারব না। কিছু বলার আগে এত বেশি দোষ আসলে ঘাড়ে নিয়ে ফেলছি, তাই এখন বলার ইচ্ছাও নেই। একটা সম্পর্ক নিয়ে এত দোষারোপ হবে, এটা তো বুঝতেই পারিনি।’
এম হাসান
