চাঁদ
গরুর হাটকে কেন্দ্র করে হাস্যরস, প্রেম ও মানবিকতার মিশেলের গল্প নিয়ে ঈদের নাটক ‘চাঁদের হাট’। ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে বাংলাদেশে এখন এক নম্বরে আছে ঈদুল আজহার এই নাটক। এর শেষ দৃশ্যে একটি দরিদ্র পরিবারের কষ্ট বেশিরভাগ দর্শককে আবেগপ্রবণ করেছে। ৪৮ মিনিটের ‘চাঁদের হাট’ নাটকে প্রেম-ভালোবাসা, আবেগ, কমেডি, জীবনযাত্রার মান, সামাজিক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
গল্পে দেখা যায়, গরুর হাটে দালালি করে চাঁদ নামের এক তরুণ। খামারিদের বোকা বানিয়ে কম দামে গরু কিনে বেশি দামে বিক্রি করার ক্ষেত্রে তার জুড়ি নেই। হাটের পাশে ভাতের হোটেলে মামার সঙ্গে কাজ করে পূর্ণিমা। তাকে পছন্দ করে চাঁদ। কিন্তু মেয়েটি তাকে পাত্তা দেয় না। পূর্ণিমাকে বিয়ে করতে মায়ের কাছে বায়না ধরে চাঁদ। ঘটনাক্রমে জানা যায়, চাঁদের মা ও পূর্ণিমার মামা এক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা ছিলেন। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনী।
১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে মুক্তি পায় ‘চাঁদের হাট’। ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত এটি দেখা হয়েছে ৫০ লাখবারেরও অধিক। এতে লাইক পড়েছে ৯০ হাজারেরও বেশি। অসংখ্য দর্শক নাটকটির ইউটিউব লিংকে কমেন্টের ঘরে নিজেদের ভালো লাগার অনুভূতি জানিয়েছেন। অধিকাংশের কথায়, অসাধারণ একটি নাটক।
ভারতীয় এক নারী দর্শক মন্তব্য করেছেন-আমি একজন ভারতীয় হয়ে বলছি, আপনাদের বাংলাদেশের নাটক আমার খুব ভালো লাগে। অসম থেকে বোরহান উদ্দিন হুসেন লিখেছেন, শেষ দৃশ্যটি খুব আবেগপ্রবণ। কঙ্কন আচার্যের একই অনুভূতি, শেষের অংশটুকু আমাকে কাঁদিয়েছে। কেউ কেউ সিনেমার আবহ খুঁজে পেয়েছেন ‘চাঁদের হাট’ নাটকে। এসকে শাকিল তাদেরই একজন, নাটকটি দেখে আমার মনে হলো একটি নতুন বাংলা সিনেমা দেখেছি। ‘চাঁদের হাট’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন কে এম সোহাগ রানা। হাস্যরসের মোড়কে কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন তিনি।