মাহি ও জোভান
ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটক সমালোচনার শেষ প্রান্তে। ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ভিত্তিক নাটকটি পরিচালনা করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। এবার নাটকটির অভিনেতা জোভানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
রূপান্তর নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালত, নোয়াখালীতে। মামলার বাদী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ।মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ইউটিউব চ্যানেল একান্ন মিডিয়া থেকে নাটকটি সরিয়ে ফেলার পর এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তার মতে, দর্শকরা নাটকটির কনসেপ্ট হয়তো বোঝেনি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক কিছুই দেখছি, আসলে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
এদিকে, তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান ও অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। দর্শকদের অভিযোগ, রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এ নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এ কারণে গত তিনদিন ধরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধোনা করছে নেটিজেনরা।
এছাড়া জোভান ও সামিরা খান মাহি দুজনের ফেসবুক পেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
জোভান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, নাটকটি নিয়ে কেন এমন সমালোচনা করা হচ্ছে। নাটকটির ভিউ হয়েছিল নব্বই হাজার। তাহলে বাকি মানুষ তো দেখেনি! আমার মনে হয়, তারা না দেখেই সমালোচনা করছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে।’
সমালোচনার মুখে জোভান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দর্শক পছন্দ করেন না এমন কোনো চরিত্রে অভিনয় করবেন না। বললেন, যেহেতু মানুষ পছন্দ করছে না সেহেতু এসব আর করা যাবে না। এরপর থেকে এগুলো আর করব না।
নেটিজেনদের কিংবা নিজের অনুসারীদের উদ্দেশে কোনো বার্তা আছে কি না জানতে চাইলে জোভান বলেন, ‘আমি ভেবেছি এটা নিয়ে একটি বিবৃতি দেব। ওই বিবৃতির মাধ্যমে আমার কথাগুলো জানাব।’
জোভান ছাড়াও ‘রূপান্তর’ নাটকে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক।
শহিদ