সিসিটিভি ফুটেজে হামলা করা যুবক
বাইকে চেপে বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়িতে গুলি, এমনটাই ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। দেখা যায়, পরনে কালো জ্যাকেট, মাথায় টুপি, চাপ দাড়ি এমন কেউ করেছে এই কাজ।
সবার চোখ পড়ে আছে মুম্বাই বান্দ্রা এলাকার ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট’-এর দিকে। সালমানে খানের বাস ভবনে গুলি ছুড়ে এক যুবক। জানা যায়, অই ব্যক্তির নাম বিশাল ওরফে কালু। বাইকে চেপে গুলি ছুড়ে চম্পট দেন তিনি।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোর পাঁচটা নাগাদ অভিনেতার বাড়ির সামনে চলেছিল চার রাউন্ড গুলি। একটি এসে লাগে অভিনেতার জানালার পাশের দেয়ালে। তারপর থেকেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। শুরু হয়েছে মন্ত্রী আনাগোনা সালমানের বাড়িতে। গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং।
সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে অভিনেতাকে। এ বার সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে এল অভিযুক্তের পরিচয়। পরনে কালো জ্যাকেট, মাথায় টুপি, চাপ দাড়ি। নাম বিশাল ওরফে কালু। বাইকে চেপে গুলি ছুড়ে চম্পট দেন এই ব্যক্তি।
বিশাল গুরুগ্রামের বাসিন্দা। জেল খাটা আসামী। ২০২০ সালে প্রথম বার পুলিশের খপ্পড়ে পড়েন তিনি। মোটারবাইক চুরির অভিযোগে তিহাড়ে বন্দি ছিলেন বিশাল। তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পাশপাশি, রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন। গত বছর গুরুগ্রামে দুই খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তার। এ বার সালমানের বাড়িতে গুলি চালিয়ে রাতারাতি প্রচারের আলোয় চলে এলো এই ব্যক্তি।
এই মুহূর্তে জেলবন্দি গ্যাং-প্রধান লরেন্স বিষ্ণোই। গোটা ঘটনার ১২ ঘণ্টা কাটার আগেই সমাজমাধ্যমের পাতায় হুমকি পোস্ট দেন লরেন্সের ভাই আনমোল বিষ্ণোই। তিনি লিখেছেন, 'আমদের উপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তা-ই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কত দূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এর পর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না… দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রীরাম।'
তবে গোটা ঘটনায় মোটেই বিচলিত নন সালমান কিংবা তার বাবা সেলিম খান। ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন, খান পরিবার যে এই ঘটনায় ভয় পেয়েছে তেমন নয়। বরং, সব কিছু স্বাভাবিকই রয়েছে তাদের।
শিলা
