ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের জাতীয় পুরস্কার জিতেছে জয়া আহসান অভিনীত বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ-প্রযোজনার সিনেমা ‘ফেরেশতে’। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে থেকে বিষয়টি নিজেই জানান বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
জয়া আহসান জানান, ইরানের ৪২তম ফজর চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী সিনেমা হিসেবে প্রদর্শিত হয় ‘ফেরেশতে’। সেখানেই দেশটির জাতীয় পুরস্কার জেতে সিনেমাটি।
জানা গেছে, প্রতিবছর ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে ইরান সরকার সেসব সিনেমাকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে যেগুলোতে মাধ্যমে মানবাধিকার, শিক্ষা, পরিবেশ, দাতব্য কাজ ইত্যাদি বিভাগে দেশটির জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।
“খয়র-ই-মান্দেগার” নামক একটি সংস্থার মাধ্যমে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। এই সংস্থাটি ইরানের সমস্ত দাতব্য প্রতিষ্ঠান, দাতা, এনজিও-এর প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রতিষ্ঠানটি ইরানে ইউনিসেফের মতো সক্রিয়।
উৎসবে ‘ফেরেশতে’ সিনেমার প্রধান দুই চরিত্র জয়া আহসান এবং সুমন ফারুককেও করা হয় পুরস্কৃত। দুজনকেই “খয়র-ই-মান্দেগার” স্মারক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।
জয়াকে দেওয়া স্মারকপত্রে বলা হয়, ‘শিল্পের মাধ্যমে দানশীলতা দেখানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর চিত্র। যা কখনো কখনো মানুষকে তার নিজের প্রকৃতির মহাসাগরের গভীরে টেনে নিয়ে যায়। যাতে তার অস্তিত্বের মুক্তা আহরণ করতে পারে। ‘ফেরেশতে’ সিনেমাটি ভালোবাসা এবং শিল্পের এক অসাধারণ মিশ্রণ, যেখানে আপনি প্রতিটি মুহূর্তে দয়ার উজ্জ্বল আভা দেখতে পাবেন। খয়র-ই-মান্দেগার দাতব্য সংস্কৃতি কেন্দ্র এই চিরন্তন কাজে ভূমিকা রাখার জন্য ৪২তম ফজর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘জাতীয় ইচ্ছার প্রতিফলন’ বিভাগে আপনাকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।
ইরানে ফেরেশতে সিনেমাটি ‘দুরুগহায়ে যিবা’ নামে পরিচিত। এ সিনেমায় জয়া আহসান ও সুমন ফারুক ছাড়াও রিকিতা নন্দিনী শিমু, শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী অভিনয় করেছেন।
পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের সঙ্গে সিনেমাটি লিখেছেন বাংলাদেশের মুমিত আল-রশিদ। ফারসি ও বাংলা অনুবাদ করেছেন মুমিত আল-রশিদ ও ফয়সাল ইফরান।
যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটিতে সহপ্রযোজক হিসেবে আছে ইমেজ সিনেমা, সি তে সিনেমা এবং ম্যাক্সিমাম এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশ।
এসআর