রাম চরণ
প্রথম ছবিই সুপারহিট। ২০০৭ সালে ‘চিরুথা’ দিয়ে অভিষেক। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। হয়ে উঠেছেন শীর্ষ দক্ষিণি অভিনেতাদের একজন।
গত ১৬ বছরে অভিনয় করেছেন ‘আরআরআর’,‘মাগাধিরা’, ‘নায়াক’, ‘যেবাদতু’, ‘ধ্রুব’ -এর মতো সিনেমায়। একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন অভিনেতা, যা তিনি বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন খাতে। অনেক ভক্ত-দর্শকেরই প্রশ্ন, রামচরণের সম্পদের পরিমাণ আসলে কত?
বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রামচরণের সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। অভিনেতার এ বিপুল সম্পদের উৎস চলচ্চিত্র থেকে আয়। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি থেকেও মোট অঙ্কের অর্থ আয় করেন তিনি।
ভারতের একটি বেসরকারি হাসপাতালের শেয়ার আছে রামচরণের। হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা অভিনেতার স্ত্রী উপাসনা কামিনির নানা।
উপাসনা এখন হাসপাতালটির ভাইস চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না থাকলেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে রামচরণের বিনিয়োগ আছে।
নিজের প্রযোজনা সংস্থা আছে রামচরণের। তাঁর কোনিডেলা প্রযোজনা সংস্থা থেকে ‘খিলাড়ি নম্বর ১৫০’, ‘আচার্য’, ‘গডফাদার’ ইত্যাদি সিনেমা নির্মিত হয়েছে।
এ ছাড়া হায়দরাবাদ পোলো ক্লাবের মালিকানা আছে রামচরণের। তবে গত বছর সম্ভবত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করেন অভিনেতা। একটি বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থার ৭৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন।