পরীমণি
আবারও আলোচনায় অভিনেত্রী পরীমণি। এবার আরও ভয়ংকর কিছুর ইঙ্গিত দিলেন তিনি। দুটি ছবি শেয়ার করলেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিছানা, বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। লিখলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার। সংবাদ সম্মেলন, লোডিং....’। সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হয়। সবার প্রশ্ন, কী হয়েছে পরীমণি? কেন সংবাদ সম্মেলন করতে চাচ্ছেন এই তারকা।
এর আগের দিন পরীমণি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে স্বামী রাজের সঙ্গে তাঁর সংসারের ইতি টানছেন।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।’
পোস্টের পর জনকণ্ঠ থেকে যোগাযোগ করা হলে পরীমণিকে পাওয়া যায়নি। পরে তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনো বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগির বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব। বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তাঁর আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতিতে নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম।’
যদিও গতকাল শনিবার রাতে পরীমণি জানিয়েছিলেন স্বস্তির সংবাদ। তিনি মান-অভিমান ভুলে আবারও রাজের সঙ্গে আছেন বলেই প্রকাশ করেন।তবে কয়েক ঘণ্টা পরই ফেসবুকে তিনি নতুন একটি পোস্ট দেন। এর সঙ্গে দুটি ছবিও শেয়ার করেছেন পরী। যে ছবিতে রক্তের উপস্থিতি।
সকাল ছয়টায় পরীমণির পোস্ট করা ছবি দুটি নতুন করে নতুন জটিলতার আভাস দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কী হয়েছে পরীর?
তাঁর ভক্ত-অনুরাগীরা জানতে চাইছেন। স্বামী রাজের সঙ্গে আবার কোনো ঝামেলায় জড়িয়েছেন তিনি? এ কারণেই কী মারামারির ঘটনা ঘটেছে? না অন্যকিছু? পরী তাঁর স্ট্যাটাসে সংবাদ সম্মেলনের কথা বললেও কখন সংবাদ সম্মেলন হবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত পরিষ্কার করেননি।
প্রসঙ্গত, পরীমণির ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সূত্রে জানা যায়, দুজনের সংসারজীবন ভালো যে কাটছিল না, এটা শুধু এত দিন তাঁদের কাছের মানুষেরা জানতেন। তাঁরা নানাভাবে দুজনকে বুঝিয়েছেনও। নিজেরাও নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছেন সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিতে। কিন্তু কিছুতেই যেন তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। দুজনের সম্পর্কের অবণতির কারণে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্তও ঘটে। এমনও শোনা গেছে, কয়েক দিন আগে পরীমণির হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণটাও সম্পর্কের অবণতিতে হয়েছে। ডান হাতের আঙুলে চিড় নিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
টিএস