ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

অভিনেতা আবদুল কাদেরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

অভিনেতা আবদুল কাদেরের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী

অভিনেতা আবদুল কাদের

দুই বছর হয়ে গেল  'বদি'খ্যাত অভিনেতা আবদুল কাদের নেই । ২০২০ সালের  এই দিনে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ১৯৫১ সালে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা আবদুল কাদের। তার বাবার নাম আবদুল জলিল, মায়ের নাম আনোয়ারা খাতুন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন আবদুল কাদের। কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। সিংগাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে শিক্ষকতা করেন। এর পর বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থা এবং ১৯৭৯ সালে আন্তর্জাতিক কোম্পানি বাটায় চাকরি নেন। ১৯৭২ সালে টেলিভিশন ও ১৯৭৩ সালে রেডিও নাটকে অভিনয় শুরু করেন তিনি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ডাকঘর' নাটকে অমল চরিত্রের মাধ্যমে আবদুল কাদেরের নাটক দিয়ে অভিনয়ের শুরু। থিয়েটারের প্রায় ৩০টি প্রযোজনার সহস্রাধিক প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়', 'এখনও ক্রীতদাস', 'তোমরাই', 'স্পর্ধা', 'দুই বোন' এবং 'মেরাজ ফকিরের মা'।

১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা 'কোথাও কেউ নেই' ধারাবাহিক নাটকে 'বদি' চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান আবদুল কাদের। সেখানে তাকে দেখা যায় তিন সদস্যের মাস্তান দলের বাকের ভায়ের সহকারীর চরিত্রে। এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি আবদুল কাদেরকে। টেলিভিশনে দুই সহস্রাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য নাটক 'মাটির কোলে', 'নক্ষত্রের রাত', 'শীর্ষবিন্দু', 'সবুজ সাথী', 'তিন টেক্কা', 'যুবরাজ', 'আগুন লাগা সন্ধ্যা', 'প্যাকেজ সংবাদ', 'সবুজ ছায়া' ইত্যাদি।

আবদুল কাদের অভিনয় করেছেন বড় পর্দাতেও। ২০০৪ সালে 'রং নাম্বার'সহ কয়েকটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশকিছু বিজ্ঞাপনের কাজও করেছেন এ অভিনেতা। এ ছাড়া তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'ইত্যাদি'র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন।

 
 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×