প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। অধিবেশন চলাকালীন জাতিসংঘ মহাসচিবসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে বাংলায় বক্তব্য রাখবেন।
তিনি তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সমস্যা, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রপন্থার বিষয়ে বাংলাদেশের 'জিরোটলারেন্স' নীতি, জলবায়ুপরিবর্তন ও এর প্রভাব, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন সংঘাত এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়ে গুরুত্বারোপ করবেন।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের উচ্চ পর্যায়ের সভায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন। সভায় ছয়টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ছাড়াও জি-৭ ও জি-২০ সংগঠনের প্রধানরাও উপস্থিত থাকবেন।
এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশ দুটি সাইড ইভেন্ট আয়োজনের পাশাপাশি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পদ্মা বহুমুখী সেতু বিষয়ক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিকল্পে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তা বিশ্ব সভায় তুলে ধরা হবে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব, কসভো, ইকুয়েডর ও স্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রপতি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ শরনার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এর সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আয়োজনে একটি গোল টেবিল বৈঠকেও অংশগ্রহণ করবেন তিনি। এই বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধার বিষয়সমূহ উপস্থাপনা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব বাংলাদেশের নিকট তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক আসছেন। নিউইয়র্কের সফর শেষে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে যাবেন। ২৮ সেপ্টম্বর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় জন্মদিন পালন করবেন।
টিএস