অনলাইন ডেস্ক ॥ জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় অভিনয় করছেন না শ্রদ্ধা।আজ শনিবার এই তথ্য জানা গেছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ঘোষণা দেয়া হয়ছিলেঅ বহুল আলোচিত ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার নায়িকা হচ্ছেন শ্রদ্ধা কাপুর। জাজ মাল্টিমিডিয়া এই ঘোষণা দেওয়ার পর গুঞ্জন রটেছিল, সিনেমাটির বিষয় নাকি শ্রদ্ধা জানেনই না। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো।
একসঙ্গে হলিউড, বলিউড, টালিউড ও ঢালিউডের নামজাদা বহু অভিনেতা ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিষয়টি আগেই জানানো হয়েছিল। চলতি বছরের ২৯ আগস্ট জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ‘মাসুদ রানা’ দিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর। তবে শুরু থেকেই গুঞ্জন চলছিল এই ঘোষণার সত্যতা নিয়ে। অবশেষে সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো।
শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে জাজ মাল্টিমিডিয়া জানায়, শুটিংয়ের সময় পরিবর্তনের কারণে সিনেমাটিতে অভিনয় করতে পারবেন না শ্রদ্ধা কাপুর। বাংলাদেশে যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা অত্যন্ত জটিল হওয়ার কারণে ‘মাসুদ রানা’র জন্য এখনো সরকারের কাছে আবেদন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। আগামীকাল রবিবার এই আবেদন করা হবে এবং এই অনুমতি পাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে জানানো হয় ফেসবুকের এই পোস্টে।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি শ্রদ্ধা কাপুরের সঙ্গে ইতোপূর্বে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং শ্রদ্ধার এজেন্টের মাধ্যমে অগ্রীম সাইনিং মানি পাঠিয়ে দিয়েছে। চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ‘মাসুদ রানা’ সিনেমায় কাজ করার চুক্তি ছিল শ্রদ্ধার। এরপর শ্রদ্ধা বলিউডের অন্য সিনেমার জন্য শিডিউল দিয়ে রেখেছেন বলে ‘মাসুদ রানা’সিনেমায় সুলতা চরিত্রে তিনি অভিনয় করতে পারছেন না।
তবে মাসুদ রানার ভক্ত, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের হতাশ না হতে আহ্বান করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই বলিউডের আরেকজন অভিনেত্রী মাসুদ রানা সিনেমায় অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। শিগগিরই তার নাম ঘোষণা করা হবে।
কাজী আনোয়ার হোসেনের বাংলাদেশি স্পাই থ্রিলার ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের প্রথম পর্ব ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। এর ইংরেজি নাম হবে ‘এমআর-৯’।
জাজ মাল্টিমিডিয়া সূত্রে জানা যায়, ‘মাসুদ রানা’ নির্মাণে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৮৩ কোটি টাকা খরচ হবে। এটি বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে তৈরি হবে। বাংলা ভাষায় মুক্তি পাবে বাংলাদেশ ও কলকাতায়। আর সারাবিশ্বে একযোগে ইংরেজি ভাষায় সিনেমাটি মুক্তি পাবে। একটি আন্তর্জাতিক মানের স্পাই থ্রিলার সিনেমা বানানোর প্রতিশ্রুতি প্রতিষ্ঠানটি পুনর্ব্যক্ত করেছে।