স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ খ্যাত নির্মাতা শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দ্বিতীয় কৈশোর’ ওয়েব ফিল্মে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, আফরান নিশো ও তাহসান খান। এটি প্রযোজনা করেছে গুড কোম্পানি।
তিন তারকাকে ঘিরে এরই মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে অনলাইনবাসীদের জন্য নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি। একটা সময় তারকাবহুল এক ঘণ্টার নাটক ও টেলিছবি অনেক নির্মাণ হতো। চলচ্চিত্রেও দেখা যেত দুই-তিনজন সুপারস্টার নায়কেরা একসঙ্গে। তাদের সঙ্গে থাকতো ডার্কসাইটে নারী অভিনেত্রীরাও। কিন্তু সময়ের স্রোতে বাজেটের সঙ্কট প্রকট হয়েছে। কোন রকমে প্রধান দুটি প্রেমিক-প্রেমিকা চরিত্র নিয়ে শেষ করা হয় গল্প। হোক সে ছোট কিংবা বড় পর্দার নির্মাণ। সেদিক থেকে তারকাবহুল নির্মাণে বেশ বড় একটা চমক দেখাতে পেরেছেন তিনি। নির্মাতা জানান, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘বায়োস্কোপ’-এ দেখা যাবে ৬০ মিনিট দৈর্ঘ্যরে ‘দ্বিতীয় কৈশোর’।
ত্রিশের কোঠায় থাকা তিন তরুণের ভিন্নধর্মী সঙ্কটের গল্প নিয়ে এগিয়েছে ওয়েব ফিল্মটির কাহিনী। জীবনকে তারা কিভাবে দেখেন এবং প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির নানান হিসেবের বিভিন্ন ঘটনা গল্পটিতে প্রাধান্য পেয়েছে। পরিচালক শিহাব শাহীন এ ওয়েব ফিল্ম নিয়ে বলেন, এই তিন তারকাকে এক সঙ্গে পাওয়া দুরূহ হলেও গল্পের প্রয়োজনেই প্রথমবারের মতো এক সঙ্গে তাদের নিয়ে কাজ করছি।
নির্মাণের দিক দিয়ে কাজটি করা হয়েছে চলচ্চিত্রের আদলে। নির্মাণ, গল্প ও অভিনয় সবকিছুতেই রয়েছে চলচ্চিত্রের আবহ। তাছাড়া বিনোদনের ক্ষেত্রে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাই নতুন ধরনের আইডিয়া ও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করার জন্য আমাদের উৎসাহিত করছে। প্রেম-ভালবাসা ও জীবন দর্শনের মজাদার ও উপভোগ্য দিক নিয়ে নির্মিত নতুন ধরনের কাজটি আশাকরি দর্শকপ্রিয়তা পাবে।
অপূর্ব বলেন, আমরা তিনজনই একসঙ্গে অভিনয় করতে পারছি, এটা আমার কাছে দারুণ একটি ব্যাপার। বিশেষ করে আমাদের তিনজনের মধ্যে পর্দার বাইরেও রয়েছে চমৎকার বন্ধুত্ব। শিহাব শাহীনের মতো অভিজ্ঞ একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার কারণে তা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। আফরান নিশো বলেন, অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো এক ধরনের আর্কাইভের মতো। তবে কাজটি কতবার দেখা হলো বা কতজন দর্শক দেখলেন সেই সংখ্যাটিই সেই কাজটির মান নির্ণায়ক নয়।
এসব প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়ছে, কাজের পরিমাণ বাড়ছে, সেই সঙ্গে দর্শকের সংখ্যাও। এসবই আমাদের জন্য আশার বিষয়। আমি বিভিন্ন ধরনের চরিত্র করতে পছন্দ করি, সে কারণে এই কাজটি করে যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছি।
তাহসান খান বলেন, সময়ের বিবর্তনে বড় পর্দা ও টেলিভিশনের পরে এখন মোবাইল ফোনের পর্দায় চলে আসছে উন্নতমানের কন্টেন্ট, যার রয়েছে অন্য ধরনের আবেদন। মূল বিষয়টি হচ্ছে, কন্টেন্ট বা বিষয়বস্তু যদি আকর্ষণীয় হয় দর্শক তা দেখবেই এবং প্রযোজনা ও বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে অন্যান্য আর্থিক অনুষঙ্গগুলোর ব্যবস্থাপনা আরও ভাল হবে।
জানুয়ারির শুরু থেকে মাঝামাঝি রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন শূটিং লোকেশনে কাজ করেছেন এ ওয়েব ফিল্মের কলাকুশলীরা। তিন তারকার পাশাপাশি ওয়েব ফিল্মটিতে আরও অভিনয় করেছেন সানজিদা প্রীতি, রাইসা অর্পা, নাজিয়া হক অর্ষা, রিফাত জাহান প্রমুখ।