
ফের খুনের হুমকির মুখে বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। গুজরাটের ভদোদরা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া এক যুবক স্বীকার করেছে, সে নিজেই এই হুমকি দিয়েছিল এবং তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানো। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয়, ওই যুবক দাবি করেছে—তার অনুপ্রেরণা কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিষ্ণোই!
সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার সময় মুম্বইয়ের ওরলি ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্টের হোয়াটসঅ্যাপে আসে একটি হুমকির বার্তা। বার্তায় স্পষ্ট বলা হয়, সালমান খানের গাড়িতে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে এবং তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খুন করা হবে। বার্তা পেয়ে তৎপর হয় মুম্বই পুলিশ। তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হুমকিদাতাকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত যুবকের নাম ময়াঙ্ক পাণ্ডেয়া, বয়স ২৬ বছর। সে গুজরাটের ভদোদরার বাসিন্দা এবং তার বাবা একটি জুসের দোকান চালান। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই নিজের ফোন থেকে এই হুমকি পাঠিয়েছিল সে। প্রাথমিক জেরায় ময়াঙ্ক জানায়, তার কোনও সন্ত্রাসবাদী গ্যাং বা লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। তবে সে বিষ্ণোইয়ের কর্মকাণ্ডে ‘অনুপ্রাণিত’। তার বক্তব্য, “এই কাজ করে আমি চেয়েছিলাম ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়াতে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে মানসিক সমস্যার জন্য চিকিৎসাধীন রয়েছে ময়াঙ্ক। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
এদিকে, বারবার এমন হুমকির মুখে সালমান খানের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। তাঁকে দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াই প্লাস’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। বান্দ্রার বাড়িতে বুলেটপ্রুফ জানালা, আধুনিক সিসিটিভি এবং ২৪ ঘণ্টা নজরদারি সহ সর্বোচ্চ প্রযুক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজু