ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

আতঙ্ক কাটেনি টাইটানিক নায়িকার

আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:২২, ১২ মার্চ ২০২৫

আতঙ্ক কাটেনি টাইটানিক নায়িকার

২৭ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল সাড়া জাগানো সিনেমা ‘টাইটানিক’। এ সিনেমায় লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেটের রসায়ন এখনো দর্শকের চোখে লেগে আছে। বিশেষ করে তাদের রোমান্টিক অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো এখনো আলোচনা সমালোচনার খোরাক জোগায়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেট উইন্সলেট জানিয়েছেন টাইটানিকের অন্তরঙ্গ দৃশ্যের কথা ভেবে এখনো তিনি আতঙ্কিত হন, যে দৃশ্য ভক্তরা তাকে কখনো ভুলতে দেয় না। টাইটানিকের পর কেটের অসাধারণ ক্যারিয়ার তৈরি হয়েছিল। উদাহরণ দেওয়ার মতো আরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তবু টাইটানিকই বছরের পর বছর ধরে তাকে চিনিয়ে দেওয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন সবাই। আর ভক্তরাও সেটা লুফে নিয়েছেন। ১৯৯৭ সালের এই ব্লকবাস্টার সিনেমায় রোজ ডেউইট বুকাটার চরিত্রে অভিনয় করা অস্কারজয়ী অভিনেত্রী বলেছেন, তার নগ্ন দৃশ্যটি সিনেমাটি মুক্তির অনেক পরেও ভক্তদের কাছে আকৃষ্ট ছিল। এমনকি ১৭ বছর পরেও ভক্তরা অটোগ্রাফের আশায় সেই স্কেচটি নিয়েই তার কাছে গিয়েছিল। কিন্তু বিব্রত উইন্সলেট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এখন আর এ সিনেমার অংশ হতে চান না। তিনি বলেন, ‘লোকেরা আমাকে (ছবিতে) প্রায়ই স্বাক্ষর করতে বলে। কিন্তু আমি সেই দৃশ্য দেখে কাউকেই অটোগ্রাফ দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ্য করি না। এটা খুব অস্বস্তিকর বিষয় আমার জন্য।’ টাইটানিক সিনেমায়, জ্যাক প্রেমিকা রোজকে হার্ট অফ দ্য ওশান নেকলেস ছাড়া আর কিছুই পরে স্কেচ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু কালো-সাদা নগ্ন দৃশ্যটিই সিনেমার সবচেয়ে আইকনিক ভিজ্যুয়ালগুলোর মধ্যে একটি হয়ে ওঠে। উইন্সলেটের জন্য, এটি একটি অপ্রত্যাশিত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তিনি বলেন, এই একটি যন্ত্রণা থেকে আমি মুক্তি পেতে চাইছিলাম। আমি চাইনি যে এটি এমন একটি দৃশ্য হোক যা আমি ১৭ বছর পরেও দেখতে পাব।’
টাইটানিকের বিশ্বব্যাপী সাফল্য সত্ত্বেও, উইন্সলেট স্বীকার করেছেন এর কিছু অংশ তাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। প্রায়ই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, কিছু দৃশ্য দেখে ‘খুব অস্বস্তিকর’ লাগছিল, বিশেষ করে যখন তার ক্যারিয়ার বিকশিত হয়েছিল। তাই এ অতীত ভুলে থাকতে চেয়েছেন সবসময়। যদিও এই টাইটানিকই তাকে হলিউডের সবচেয়ে দামি অভিনেত্রীদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। পরবর্তীতে ‘দ্য রিডার’, ‘রেভোলিউশনারি রোড’ এবং ‘লেবার ডে’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছিলেন তার পরিসর টাইটানিকের তারকা-ক্রসড রোম্যান্সের বাইরেও বিস্তত। তবুও তিনি যত প্রশংসাই অর্জন করুন না কেন, বিশ্ব এখনো তাকে রোজ হিসেবে মনে রেখেছে। আরও মনে রেখেছে সেই সোফায় শুয়ে থাকা, কাঠকয়লায় অমর হয়ে থাকার দৃশ্য।

×