
ভিকি কৌশলের ‘ছাবা’ সিনেমাটি ভারতজুড়ে সাড়া ফেলেছে। সিনেমাটি প্রশংসা কুড়াচ্ছে শোবিজ থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনেও। তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সিনেমাটির। এর আগে সম্ভাজি মহারাজের নাচগান দেখে ক্ষেপে যান মারাঠিরা। এবার তথ্য বিকৃতির অভিযোগে মানহানি মামলার হুমকি এসেছে। দুই মারাঠা যোদ্ধা গনোজি এবং কানহোজির বংশধররাই ‘ছাবা’র ওপর তাদের পূর্বপুরুষ সম্পর্কিত তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলে শাসিয়েছেন। সিনেমায় দেখানো হয়েছে, গনোজি এবং কানহোজির বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আওরঙ্গজেবের কাছে সম্ভাজিকে পরাজিত হতে হয়। যড়যন্ত্র করে মুঘল সম্রাটের শিবিরে যোগ দেয় দুই মারাঠা যোদ্ধা। মারাঠা লোককথাতেও এ কাহিনী ব্যাপক প্রচারিত। এবার সিনেমার পর্দায় সেই দৃশ্য দেখে জ্বলে উঠলেন গনোজি, কানহোজির বংশের ত্রয়োদশ প্রজন্ম। তাদের অভিযোগ, ‘ছাবা’ সিনেমায় এমন দৃশ্যের জন্য তাদের পরিবারের মান-সম্মান নষ্ট হচ্ছে। শীঘ্রই পরিচালককে সেই দৃশ্য বদলের জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। না হলে ১০০ কোটি রুপির মানহানি মামলা করা হবে পরিচালক লক্ষ্মণ উতরেকর এবং টিম ‘ছাবা’র বিরুদ্ধে। বিতর্কের শুরুতেই এদিকে মাঠে নেমেছেন লক্ষ্মণ নিজেই। জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন গনোজি, কানহোজির বংশধরদের কাছ থেকে।
বলিউড সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে পরিচালক লক্ষ্মণ উতরেকর গনোজি, কানহোজির বংশধর ভূষণ শিরকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি যে সিনেমাটিতে কোনো গ্রামের নাম বা তাদের নামের শেষ অংশ ব্যবহার করে অপমান করতে চাননি, সে কথাও জানিয়েছেন। এবার দেখতে হবে ক্ষমা প্রার্থী পরিচালকের অনুরোধে মাফ পান কি না।
বিতর্কের আগুন যতই জ্বলুক না কেন, মাত্র দশ দিনে ৩২৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে ‘ছাবা’। ‘ছাবা’র শূটিং শুরুর আগে থেকেই চাপে রয়েছেন ভিকি কৌশল। কখনো ২৫ কিলো ওজন বাড়িয়েছেন। এক মুখ দাঁড়ি রাখতে হয়েছে সম্ভাজির চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য। আবার দীর্ঘ কয়েক মাস শূট চলাকালীনও কম পরিশ্রম করেননি ভিকি কৌশল। একবার তো পুরো রাত দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ফলে হাত অবশ হয়ে মারাত্মক আঘাত অভিনেতা। এমন পরিস্থিতি হয় যে এক মাস শূটিং থেকে বিরতি নিতে হয়েছিল।
‘ছাবা’ সিনেমাটি ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তির সময়ও প্রচারের জন্য প্রাণপণে ছুটেছেন ভিকি কৌশল। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মেট্রো সিটিতে জমিয়ে প্রচারের পাশাপাশি কখনো সিদ্ধিবিনায়কে পূজা দিয়েছেন। কখনো মহাকুম্ভে গিয়ে পুণ্যস্নান করে এসেছেন। এবার সেই কঠোর পরিশ্রমেরই ফল পাচ্ছেন ভিকি। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ফিল্মি ওপেনিংয়ের খেতাব জিতে নিল ‘ছাবা’।