ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে ঋষি কৌশিক

প্রকাশিত: ২২:৪১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে ঋষি কৌশিক

ছবি: সংগৃহীত

ছবি মুক্তির পর কেটে গেছে এক সপ্তাহ। কিন্তু অভিনেতা ঋষি কৌশিক ছিলেন নীরব। কঙ্গনা রনৌত অভিনীত এবং পরিচালিত সিনেমা‘ইমার্জেন্সি’তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টলিউড অভিনেতা ঋষি কৌশিক। তবে শুরু থেকেই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।  

অবশেষে ছবির মুক্তির এক সপ্তাহ পর নিজের লুকের ছবি শেয়ার করলেন ঋষি। সেই সঙ্গে শোনালেন বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এবং কঙ্গনার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার কথা।  

ঋষি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তিত্বের চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য গর্বের এবং চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতা। কঙ্গনার সঙ্গে কাজ করাটাও ছিল অত্যন্ত শিক্ষণীয়। তিনি একজন পারফেকশনিস্ট এবং কাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা অনুপ্রেরণাদায়ক।”  
 
২০২২ সালে কঙ্গনার প্রযোজনা সংস্থার তরফে ঋষির থেকে কিছু ছবি চাওয়া হয়। অভিনেতা পরে জানতে পারেন যে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের জন্য তাঁকে নির্বাচন করা হয়েছে। ঋষি বললেন, ‘‘আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমার চেহারার সঙ্গে ওঁর কোনও মিল নেই।’’ তার পর চরিত্রের লুকসেট করতে এক দিনের জন্য মুম্বই পাড়ি দেন ঋষি। অভিনেতা বললেন, ‘‘মেকআপের পর নিজেকেই চিনতে পারছিলাম না। মেকআপ শিল্পীরাও বললেন যে তাঁরা ৯০ শতাংশ লুক মিলিয়ে দিয়েছেন।’’ঋষির সঙ্গেই ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর চরিত্রের জন্য অভিনেতা মিলিন্দ সোমনের লুকসেট করা হয় বলে জানালেন অভিনেতা।

বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লুকে নিজের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন ঋষি। অভিনেতা জানালেন, প্রস্থেটিক রূপটানের জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগত। দিল্লি ছাড়াও অসমে ছবির শুটিং করেছিলেন ঋষি। অভিনেতা এখনও ছবিটি দেখেননি। তবে পরিচিতদের থেকে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন। বললেন, ‘‘যাঁরা আগে থেকে বিষয়টা জানতেন তাঁরা ছবি দেখে প্রশংসা করছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যাঁরা আমাকে দেখে চিনতেও পারেননি। বিষয়টি বেশ মজার।’’

ছবিতে কঙ্গনা ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে ঋষির কোনো দৃশ্য ছিল না। তবে পরিচালক কঙ্গনাকে ফ্লোরকে সব সময়েই পেয়েছিলেন তিনি। বললেন, ‘‘অসাধারণ একজন মানুষ। পরে ইউনিটের থেকেই জানতে পারি, বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের জন্য কঙ্গনাই নাকি আমাকে নির্বাচন করেছিলেন।’’

কঙ্গনা পরিচালক হিসেবে কেমন? ঋষি জানালেন, কঙ্গনা তাঁকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। শুটিংয়ের সময় অবাঙালি অভিনেতাদের বাংলা বলতে সমস্যা হচ্ছিল। ঋষির কথায়, ‘‘আমি বাঙালি বলে কঙ্গনা আমাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছিলেন, যাতে অবাঙালি অভিনেতারা সঠিক বাংলা বলেন। পরে ডাবিং করতে গিয়েও সহকারী পরিচালক জানান, কঙ্গনা বলেছেন, আমাকে আমার মতো বুঝে ডাবিং করতে। ভাল লেগেছিল।’’

শুটিং চলছিল আসামে। ঋষি তেজপুরের ছেলে। অভিনেতার থেকে তা শুনেই কঙ্গনা তাঁর কলেজ জীবনের গল্প শোনান। ঋষির কথায়, ‘‘তার পরেই কঙ্গনা জানালেন যে কলেজ জীবনে তাঁর আসামের অনেক বন্ধু ছিল। তাঁদের সঙ্গে কঙ্গনার যোগাযোগ অটুট রয়েছে।’’ঋষি জানালেন, চরিত্র ছোট হলেও ‘ইমার্জেন্সি’ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা দীর্ঘ দিন তাঁর মনে রয়ে যাবে।

সূত্র: আনন্দবাজার 

রাসেল

×