ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১

‘অ্যাভাটার’ কন্যার অভিযোগ

আনন্দকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘অ্যাভাটার’ কন্যার অভিযোগ

মার্কিন অভিনেত্রী জোয়ি সালড্যানা। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি-নির্ভর সিনেমা ‘অ্যাভাটার’ দিয়ে তিনি বেশ প্রশংসা কুড়ান। হলিউড বরাবরই রাজত্ব করেছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি-নির্ভর সিনেমা। তবে এসব সিনেমা পুরস্কারের ক্ষেত্রে আবার উপেক্ষিতও হচ্ছে। বিশেষ করে ‘অ্যাভাটার’-এর মতো সিনেমা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ডলার ব্যবসা করলেও পুরস্কারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মূল্যায়ন কমই করা হয়। এই অভিযোগ করেছেন ‘অ্যাভাটার’-কন্যা সালড্যানা। সম্প্রতি ইন্ডিপেনডেন্টের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন জোয়ি। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখা হয়, সেটা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি।
সিজিআই (অ্যানিমেশন) ব্যবহার করা সিনেমার অভিনেতাদের পুরস্কারপ্রাপ্তির সময় এলে প্রায়ই উপেক্ষা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। অভিনেত্রী কয়েক বছর ধরে বেশকিছু সাই-ফাই প্রকল্পে অভিনয় করেছেন যা প্রচুর ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে।  সালড্যানা বলেন, ‘পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থাগুলো সিজিআই ব্যবহার করা হয় এমন সিনেমার অভিনেতাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি জাস্টিফাই থাকেন। পুরনো অভ্যাস, পুরনো স্তম্ভ বাদ দেওয়া কঠিন। আমি এসব নিয়ে বিরক্ত নই। কিন্তু আপনি যখন দেখবেন, নিজের শতভাগ দিয়ে কাজ করেও মূল্যায়ন পাওয়া যায় না, তখন এটি হতাশ করে। পুরস্কার নাও জিততে পারে, এমনকি মনোনীত নাও হতে পারে কিন্তু যখন আপনাকে উপেক্ষা করা হবে এবং তারপরে ছোট করা হবে সেটা বেদনাদায়ক।’ যদিও সালড্যানা বর্তমানে অস্কার দৌড়ে ‘এমিলিয়া পেরেস’র জন্য শীর্ষ প্রতিযোগীদের একজন। তবে ‘অ্যাভাটার’, ‘স্টার ট্র্যাক’ এবং ‘গার্ডিয়ানস অব দ্য গ্যালাক্সি’তে তার চরিত্রগুলো প্রায়ই একাডেমির নজরে পড়েনি। কিন্তু এটা ঠিক, তার সাই-ফাই চরিত্রগুলোর জন্য বিশেষ করে নীল ত্বক, চকচকে চোখ; সর্বোপরি ‘অ্যাভাটার’- এ নেইতিরি চরিত্র নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল বিশ্বজুড়ে। জেমস ক্যামেরন পরিচালিত সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট এবং শিল্প নির্দেশনার জন্য তিনটি অস্কার জিতেছিল। কিন্তু সে সময়ে ‘অ্যাভাটার’ অভিনয়ের জন্য একটি মনোনয়নও পাননি সালড্যানা।

মোহাম্মদ আলী

×