বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। প্রায় ১৩ বছর পর বলিউডে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। গত বছর ‘গুলমোহর’ ওয়েব সিরিজে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। আগামী বছর তার অভিনীত নতুন বাংলা ছবি ‘পুরাতন’ মুক্তি পাওয়ার কথা। চলতি সময়ে আগের মতো অভিনয়ে না থাকলেও বলিউড সম্পর্কে তিনি খোঁজখবর রাখেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী এখনকার অভিনেতাদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি, সমকালীন অভিনেতাদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। নতুন প্রজন্মের অভিনেতারা শূটিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই নিজস্ব টিম নিয়ে সেটে কাজ করেন। যার ফলে অভিনেতাদের খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। শর্মিলা মনে করেন, এর ফলে বাস্তবতা থেকে এখনকার অভিনেতারা অনেকটাই দূরে সরে যান। যা পরোক্ষভাবে তাদের ক্যারিয়ারে ক্ষতি করতে পারে। শর্মিলা বলেন, ‘আমি একটা বিজ্ঞাপনের শুটে রূপটান শিল্পীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি, এখনকার অভিনেতারা নাকি তাদের মেকআপ ভ্যান কতটা বড়, তা নিয়েও প্রতিযোগিতায় নামেন।’ শর্মিলার মতে, একটা সময় সেটে ভ্যানিটিভান শিল্পীদের নিরিবিলিতে থাকার জন্য ব্যবহৃত হতো। অভিনেত্রীর কথায়, ‘সেখানে রান্না ঘর, বৈঠক করার জায়গা ইত্যাদি থাকলে অভিনয় থেকে অভিনেতা আসলে দূরে সরে যান।’ শর্মিলার মতে, এই প্রবণতা থেকে সার্বিকভাবে ব্যয়ভার বৃদ্ধি পায় বলে একজন অভিনেতাকেও আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক দাবি করতে হয়। এর আগে বলিউডে অভিনেতাদের অনৈতিক পারিশ্রমিক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মুখ খুলে ছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ, কর্ণ জোহর, ফারহা খানের মতো ব্যক্তিত্বরা। শর্মিলা বলেন, ‘আমি যখন ‘আরাধনা’র জন্য পুরস্কৃত হই, তখন নার্গিস এবং ওয়াহিদা রহমান দর্শকাসনে। মঞ্চে গান গেয়েছিলেন কিশোর কুমার। তখন পুরো বিনোদন জগৎ উদ্যাপনে শামিল হতো।’ এই প্রসঙ্গেই বর্তমান সময়ের উদাহরণ দিয়েছেন শর্মিলা। তিনি বলেন, ‘এখন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কেউ হয়তো দেরিতে আসেন। প্রথম সারির অভিনেতাদের জন্য আলাদা জায়গা থাকে। তার থেকেও বড় বিষয়, এই ধরনের অনুষ্ঠানে কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেন না! পুরস্কার না পেলে অনেকে উপস্থিতও হন না।’
মোহাম্মদ আলী