বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল চলচ্চিত্র ‘বালুঘড়ি’। হাবিব জাকারিয়ার গল্প ও চিত্রনাট্যে চলচ্চিত্রটি ১৮ বছর আগে পরিচালনা ও চিত্রগ্রহণ করেন রাজীবুল হোসেন। সম্পাদনায় ছিলেন রিয়েল আকঞ্জি। এতে অভিনয় করেন কায়েস চৌধুরী, রশিদ হারুন, ওয়াহিদা মল্লিক, ফারহানা মিলি, মনোজ কুমার প্রামানিক ও রুনা খান। প্রায় ১৮ বছর আগের নির্মিত ইমেইজ ‘বালুঘড়ি’ সম্পূর্ণ নতুন রূপে নতুন রঙে নতুন শব্দ আয়োজনে দর্শকের সামনে নতুনভাবে হাজির হচ্ছে। আরেকটি মাইলফলক অর্জনের অপেক্ষায়। প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশী চলচ্চিত্র এআই টেকনোলজি ব্যবহার করে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রিমাস্টারিং করে রিলিজের অপেক্ষায়।
‘বালুঘড়ি’ চলচ্চিত্রের প্রথম গান ‘পদ্মার জলে ভাসাই মন’ প্রকাশ হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। এ আই টেকনোলজির ব্যবহার করে লেখা, সুর ও সংগীতায়োজনের মাধ্যমে দর্শকের সামনে হাজির করা হয়। চলচ্চিত্রটির পরিচালক রাজীবুল হোসেন জানান, ‘বালুঘড়ি’ একটি অ্যান্টি-ন্যারেটিভ চলচ্চিত্র যা অধ্যাপক কুহেল আহমেদের মনস্তাত্বিক ভ্রমণকে অনুসন্ধান করে, যিনি সময়, উপলব্ধি এবং স্মৃতির এক অনন্ত চক্রে প্রবাহিত। প্রাণিবিদ্যার এই অধ্যাপক নিজেরই সৃষ্ট এক ঘোরে বন্দি হয়ে যান, যেখানে চরিত্র, স্থান ও ঘটনা মিশে গিয়ে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সীমানা বিলীন হয়ে যায়। এটি কোনো মায়া নয় বরং এক গভীর ঘোরের অনুভূতি, একটি আধ্যাত্মিক জগতের প্রবেশ যেখানে দৃশ্য শব্দের চলনে দর্শকের কাছে তার নিজস্ব এক গল্প হয়ে জন্ম নেয় যা এ অঞ্চলের বাউলদের অভিজ্ঞতার মতো। এই দার্শনিক ধারণাটি সত্যিকারের উপলব্ধি করতে পারে কেবল এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক গভীরে যুক্ত মানুষরা, যেখানে জীবন আরেক জীবনের মধ্যে প্রবাহিত হয় এবং বাস্তবতা একটি প্রবাহমান ও সংযুক্ত অবস্থায় বিদ্যমান।
‘বালুঘড়ি’ চলচ্চিত্রের প্রথম গান প্রকাশ
শীর্ষ সংবাদ: