মালাইকা ও অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত
কঠিন রোগে আক্রান্ত বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর। মালাইকার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই তিনি ভুগছেন এমন অবসাদে! অর্জুন জানিয়েছেন তার মায়ের থেকেই এই রোগ নাকি পেয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই অবসাদে ভোগেন এই নায়ক। মালাইকা অরোরার সঙ্গে ৬ বছরের প্রেম সদ্য ভেঙছে অর্জুন কাপুরের। সে কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন নায়ক জনসমক্ষে। গত ৬ বছর ধরে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া হোক কিংবা যে কোনও অনুষ্ঠানে সর্বত্র তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। সেই প্রেম যে ভেঙে যাবে এমনটা কেউই আশা করেননি।
এই বিচ্ছেদ যে বেশ প্রভাব ফেলেছে অর্জুন ও মালাইকার জীবনে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৮ সাল থেকেই সম্পর্কে জড়়িয়েছিলেন তাঁরা। ২০১৯ সালে প্রেমে সিলমোহর দেন তাঁরা। ২০২৪ সালে শোনা যায় বিচ্ছেদের খবর। সেই বিচ্ছেদের পরেই তার প্রভাব পড়েছে অর্জুনের জীবনে। এবার নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা।
অর্জুন তাঁর জীবনের এমন কঠিন সময়ের কথা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ‘২০১৪-এ যখন মা মারা যান তখন বোনও দিল্লিতে। বাড়িটা পুরো ফাঁকা মনে হত। ইন্ডাসট্রিতে যখন নিজের পরিচয় তৈরি করতে পারলাম তখন ব্যক্তিগত জীবন আর শরীরচর্চা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে যাই। সেই সঙ্গে কেরিয়ারটাও সামলাই। আজকের দিনে একটাই কথা মনে হয়, নিজের যত্ন নেওয়া উচিত।’
পাশাপাশি অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে গত দু’বছর ধরেই অসুস্থ অর্জুন। ‘হাসিমটো’ নামক রোগে আক্রান্ত অর্জুন। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। ৩০ বছর বয়স থেকে এই রোগে আক্রান্ত তিনি। এই রোগে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। এই রোগে থাইরয়েজ গ্ল্যান্ড নষ্ট হয়ে যায়। শুধু ওজন বৃদ্ধি পাওয়া নয়, একাকিত্ব ও অবসাদও তার অংশ। ঘন ঘন মনোবিদের কাছে যেতে হচ্ছে তাঁকে। অভিনেতার দাবি, তার মায়ের থেকেই এই রোগ নাকি পেয়েছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই অবসাদে ভোগেন নায়ক। ওজন বেশি হওয়ার জন্য থেরাপি নিতে হত তাঁকে। এর পর বক্স অফিসে বার বার ব্যর্থ হওয়ার জন্য আবারও অবসাদ গ্রাস করে অর্জুনকে। অভিনেতা বলেন, “গত বছর থেকে কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। কিছুই যেন ভাল লাগত না। নিজের ছবি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। একাধিক মনোবিদকে দেখিয়েছি, লাভ হয়নি। অবশেষে এক জনকে পেয়েছি যিনি আমার চিকিৎসা করছেন।”
মালাইকার সাথে সম্পর্ক ভাঙার কথা জিজ্ঞাসা করায় অর্জুন বলেন, 'সম্পর্ক নিয়ে কোনও কথা বলা খুব একটা পছন্দ করি না। আমার মনে হয় জীবনে যা ঘটছে সেটাকে সম্মান করা উচিত। এই বিষয় নিয়ে গভীরে কথা বলতে চাই না। অতীতের ঘটনার সঙ্গে বর্তমানকে কখনওই জুড়তে চাই না।'
নুসরাত