ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

 রঙিন নওবা তাহিয়া

আনন্দকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 রঙিন নওবা তাহিয়া

নওবা তাহিয়া

এ প্রজন্মের অভিনেত্রী নওবা তাহিয়া। উপস্থাপনা থেকে এসেছেন অভিনয়ে তিনি। চলতি সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। অভিনয় ও বিজ্ঞাপনচিত্রেই তার ব্যস্ততা। পাশাপাশি চলছে পড়াশোনা তার। স্বল্প সময়ে দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছেন নওবা। ক্যারিয়ারের রঙিন সময় পার করছেন এ গ্ল্যামারকন্যা। নওবা অভিনীত আলোচিত নাটকের মধ্যে রয়েছে ইমরাউল রাফাতের ‘চুপিচুপি’, রুবেল আনুশের ‘মেঘফুল’, ‘সালিশ’, ‘প্রথম প্রেমের বানান ভুল’ ও অন্যান্য নির্মাতার বুনোহাঁস, জেদ, বিসর্জন, বড্ড মায়া লাগে ইত্যাদি।

সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেলে এসেছে তার অভিনীত ‘আমার ঠিকানা তুমি’ শিরোনামের একটি নাটক।  অন্তর্জালে এটি বেশ চর্চা হয়েছে এবং নওবার অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে। নাটকটি নিয়ে নওবা বলেন, ‘এখন মানুষ নাটকে মন খারাপের গল্প দেখতে পছন্দ করেন, যেখানে চরিত্রগুলোর একটা মনস্তাত্ত্বিক জার্নি থাকবে; এই নাটকে সেটা আছে। নাটকটিতে যা দেখানো হয়েছে, সব সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা হয়তো হয় না, কিন্তু ইদানীং কিছু সম্পর্কে এ ধরনের বিষয় দেখা গেছে। এই প্রাসঙ্গিকতা হয়তো দর্শকরা পছন্দ করেছেন।’ নওবাকে রোমান্টিক চরিত্রে দর্শক বেশি দেখেছেন।

গল্প নিয়ে নওবা বাছাবাছি করছেন কী-না জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার কাছে রোমান্টিক গল্পের প্রস্তাব বেশি আসে। অন্য ধারার গল্পের প্রস্তাবও পাই। আমি গল্প কেমন তা দেখার চেষ্টা করি। নিজের প্রতি ভরসা আছে। তারপরও নির্মাতার প্রতি আস্থা রাখি সবসময়।’ ক্যারিয়ারের অল্প সময়ে এমন দর্শকপ্রিয়তাকে কেমন উপভোগ করছেন নওবা।

তার ভাষ্য, আমার অভিনীত নাটক দেখে যদি দর্শক বিনোদিত হয় তখন ভালো লাগে। তাদের প্রশংসা অনুপ্রেরণা দেয়। আরও ভালো ভালো কাজ করতে চাই। আমি কম কাজ করেছি। অল্পদিনে যতটুকু কাজ করেছি দর্শক ও মিডিয়ার ভালোবাসা পেয়েছি। অবশ্যই এতে ভালো লাগছে। নিজের প্রতি দায়িত্বও বেড়েছে। এই ভালো ধরে রাখতে হবে।’ 
অভিনেত্রী বর্তমান সময়ে কাজের সার্বিক পরিবেশ নিয়েও কথা বলেন। নাট্যজগতের কাজগুলো আরও গোছানো হলে ভালো হতো বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা শিল্পীরাই অনেক সময় কল টাইম মেনে চলতে পারি না। অনেক সময় দেখা যায়, রাত দুইটা-তিনটা পর্যন্ত শূটিং করতে হয়, আবার সকাল ছয়টায় গিয়ে কল টাইম ধরতে হয়। এ ছাড়া নারী শিল্পীদের কিছু সমস্যা হয়। এতে আমাদের সবারই দায় আছে। এ বিষয়গুলো ঠিক হলে কাজের পরিবেশও আরও সুন্দর হয়ে ওঠবে।’

ছোটবেলায় বিটিভিতে আবৃত্তি করতেন নওবা। তারপর হলেন ‘কাননে কুসুম কলি’র উপস্থাপক। অতঃপর পরিচিতি হলো অভিনেত্রী হিসেবে। বিটিভির নাটক ‘ফেরার গল্প’ তাকে এনে দেয় এ পরিচিতি। নওবা বললেন, বাচিক শিল্পী থেকে অভিনয়ে এসেছি। আবৃত্তি করতাম বলে অভিনয় কষ্টসাধ্য মনে হয়নি। বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করতে ভালো লাগে। আবৃত্তি, উপস্থাপনা ও অভিনয় তিনটি ক্ষেত্রেই কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে বেশি উপভোগ করি অভিনয়।

×