ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১

দেশের বাইরে থেকেও ছাত্র আন্দোলন দমাতে জায়েদ খানের সক্রিয়তা 

প্রকাশিত: ১৪:৫৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৭:০৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের বাইরে থেকেও ছাত্র আন্দোলন দমাতে জায়েদ খানের সক্রিয়তা 

জায়েদ খান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে শোবিজের অনেক শিল্পী প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং কিছু শিল্পী রাজপথেও নেমে এসেছেন। তবে, অনেককেই এই আন্দোলনে নিরব থাকতে দেখা গেছে, আবার কেউ কেউ রাজনৈতিক কারণে ছাত্রদের বিপক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, গতকাল থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনার শুরু হয়েছে। সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বাধীন 'আলো আসবেই' নামক এই গ্রুপে আওয়ামীপন্থী তারকাদের বার্তা প্রকাশিত হয়, যা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।

এদিকে আন্দোলনের বেশ কয়েকদিন আগে থেকে দেশের বাইরে ছিলেন আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। দেশের বাইরে থেকেও সক্রিয় ছিলেন এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। তিনি গ্রুপে এক সাংবাদিকের দেয়া ম্যাসেজ ফরোয়ার্ড করে লেখেন। সহমত। 

ম্যাসেজটি  ছিল, ‘কেবল একটু আওয়াজ হলো জয় বাংলা।আজ ফেসবুক পুরাই শান্ত দিঘীর জলের মতো স্বচ্ছ। এক পেশে চিৎকার আর স্বস্তা আবেগে ওরা জাস্ট একটা ট্রমার মধ্যে রেখেছিল দেশটাকে।’

এছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে কথা বলেছেন এই তারকা। তাকে অনুমান করা যায় নানা দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিতেন সেই গ্রুপে।

স্ক্রীনশটে আরও দেখা গেছে, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস ও সোহানা সাবা ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন এবং আন্দোলন থামানোর আহ্বান জানিয়ে মত প্রকাশ করেছেন। এমনকি অরুণা বিশ্বাস ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢালার পরামর্শও দিয়েছেন।

এদিকে, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিনেত্রী তানভীন আহমেদ সুইটি, চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেমসহ ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে ব্যান্ড শিল্পী আসিফ ইমাম মামলাটি দায়ের করেন।

এই বিষয়ে জায়েদ খান মুখ খুলেছেন, যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে স্টেজ শো-এর জন্য রয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা শিল্পী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হামলা করে হত্যার চেষ্টা করব এটা কেমন কথা। আমার মনে হয় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে শিল্পীদের জড়িয়ে এ ধরনের মামলা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শ থাকলেও শিল্পীরা হলো ফুলের মতো। তারা সংঘাতে বিশ্বাসী না।”

দিবা

×