ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শিল্পী সীমাবদ্ধ নন

প্রকাশিত: ২২:০৯, ৪ অক্টোবর ২০২৩; আপডেট: ১০:৫৯, ৫ অক্টোবর ২০২৩

শিল্পী সীমাবদ্ধ নন

সুষমা সরকার

অভিনেত্রী সুষমা সরকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করা এ অভিনেত্রী দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয় করছেন। এ জার্নিতে কখনো নিজেকে নির্দিষ্ট কোনো গ-ির মধ্যে বেঁধে রাখেননি। কোনো সজ্ঞায় আটকাও পড়েননি তাই। টিভি নাটক-চলচ্চিত্র দুটোতেই কাজ করছেন তিনি। তবে তারও আগে যাত্রা শুরু হয়েছে তার মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। নিজের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী...


নাটক-সিনেমা দুই মাধ্যমেই কাজ করছেন। কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন?
আমার কাছে গল্প ও চরিত্র প্রাধান্য পায়। যে প্লাটফরমেরই হোক যদি গল্প-চরিত্র পছন্দ হয় তাহলে কাজ করতে আপত্তি নেই। একজন শিল্পী তার মনের মাধুরী দিয়ে কাজ করতে চায় মনের মতো চরিত্র পেলে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।
নাটকের শিল্পীদের চলচ্চিত্রের মানুষেরা অন্যরকমভাবে দেখে। এটি নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?


নাটক থেকে যারা চলচ্চিত্রে আসে, তাদেরকে দেখে অনেকেই মনে করেন যে, তারা হয়তো এই জায়গায়টাতে ভালো কিছু করতে পারে না। কিন্তু এই ভেদাভেদটা আসলে থাকা উচিত না। শিল্পীর জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্লাটফরম থাকতে নেই। অর্থাৎ শিল্পী সীমাবদ্ধ নন। এছাড়া এখন ছোটপর্দার অনেক তারকা সিনেমায় ভালো কাজ করছেন। 
সিনেমায় আপনার ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?


আমিনুর রহমান খানের পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘ভোর’। এটি সরকারি অনুদানের ছবি। টানা শূটিং করে দৃশ্যধারণের কাজ শেষ করেছি। বেশ ভালো একটি গল্পের ছবি। এছাড়া রফিকুল আনোয়ার রাসেলের পরিচালনায় ‘একাত্তর করতলে ছিন্নমাথা’ শীর্ষক একটি ছবির কাজ করছি।

হাসান আজিজুল হকের প্রবন্ধ অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হচ্ছে। রায়হান খানের ‘পায়েল’ ছবিতেও আমাকে দেখা যাবে।  আগামী মাস থেকে আমার চরিত্রের দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হবে। নুরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ চলতি বছরের শেষে মুক্তির সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘ছায়া’ ছবির ডাবিং শেষ হয়েছে।
শুনেছি, নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করছেন?


‘ছায়া’ ছবিতে আমি একটি নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। এবারই প্রথম নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছি। বলা যায় সিনেমার গল্পের অন্যতম প্রধান একটি চরিত্র আমার চরিত্রটি। যে কারণে কাজটি অনেক মনোযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন ভাইও ভীষণ সহযোগিতা করছেন যেন আমার চরিত্রটি পারফেক্ট হয়।
নিজের অভিনীত নাটক বা সিনেমা দেখা হয়?


হ্যাঁ, সুযোগ পেলে দেখি। নিজের কাজ দেখলে ভুল চোখে পড়ে। মনে হয় আরও ভালো করার জায়গা ছিল। শূটিংয়ের পর মনে হয় এই শট কেন এভাবে দিলাম না। 
ওটিটি প্লাটফরম নিয়ে আপনার ভাবনা কি?


আমি ওটিটিতে ঠিকঠাক কাজ করতে চাই। একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন ওটিটিতে ছেলেদের যতটা ফোকাস করা হয় মেয়েদের ততটা করা হয় না। মেয়েদের কাজের জায়গা সীমিত। একদমই কাজ হচ্ছে না বলা যাবে না, তবে তুলনামূলক কম। 


আমাদের দেশে প্রতি ঈদে প্রচুর নাটক নির্মিত হয়। ওটিটিতেও অনেক কনটেন্ট প্রকাশিত হয়। কিন্তু দর্শক সবগুলো কাজ দেখে না। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?


দেখুন, দর্শকের এখন ধৈর্য কম। তারা ছোট ছোট ক্লিপ দেখতে পছন্দ করে। আমার কাছে যেমন ওটিটিতে সাবস্ক্রাইব করে কনটেন্ট দেখার প্রক্রিয়া জটিল মনে হয়। এ রকম অনেকেই আছেন। প্রক্রিয়াটা সহজ হলে দর্শক ওটিটিতেও বাড়বে। এসব কারণে দর্শকের কাছে সব পৌঁছায় না।

×