
ছবিঃ সংগৃহীত
ফ্রিল্যান্সিং স্বাধীনতার সাথে সাথে অনেক দায়িত্বও নিয়ে আসে। একাধিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, কাজ সময়মতো শেষ করা, ইনভয়েস পাঠানো, এবং খরচ নিয়ন্ত্রণ—এই সমস্ত কাজ অনেক সময় কঠিন হতে পারে। তবে গুগল শিটস ব্যবহারের মাধ্যমে এসব কাজ অনেক সহজ ও দ্রুত করা সম্ভব।
গুগল শিটস ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের বিভিন্ন দিক ট্র্যাক করতে পারে, আয় ও খরচ সঠিকভাবে হিসাব রাখতে পারে এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। একাধিক কাজ একসাথে পরিচালনা করার পাশাপাশি, কাজের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন তথ্য এক জায়গায় রাখা সম্ভব হয়, যা সময় বাঁচায় এবং আয় বাড়াতে সাহায্য করে।
গুগল শিটস ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আরও কার্যকর ও দ্রুত সম্পন্ন করা যেতে পারে। এর মধ্যে কিছু সুবিধা হল:
১. কাজের ট্র্যাকিং
ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অসমাপ্ত এবং সম্পন্ন কাজ সহজেই ট্র্যাক করতে পারে। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা শীট তৈরি করে কাজের অবস্থা, প্রকাশের তারিখ, পারিশ্রমিক ইত্যাদি লিখে রাখা যায়। এভাবে কাজের সব তথ্য এক নজরে দেখতে সুবিধা হয়।
২. নতুন ক্লায়েন্টদের খোঁজ রাখা
নতুন ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে এবং পুরনো ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে গুগল শিটসে তালিকা তৈরি করা যায়। এতে ক্লায়েন্টদের সাথে পূর্বের যোগাযোগের তথ্য সংরক্ষণ করা সহজ হয় এবং নতুন ক্লায়েন্টদের সাথেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
৩. খরচ ট্র্যাকিং
ফ্রিল্যান্সিংয়ের মধ্যে নানা ধরনের খরচ যেমন সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন, ইন্টারনেট বিল, প্রয়োজনীয় গ্যাজেটস ইত্যাদি থাকে। গুগল শিটসে এই সমস্ত খরচ ট্র্যাক করে এক জায়গায় রাখা যায়, যা খরচের পর্যালোচনা এবং বাজেট পরিকল্পনায় সাহায্য করে।
৪. ক্লায়েন্টের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ
গুগল শিটসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সাথে কাজের আইডিয়া বা ফিডব্যাক শেয়ার করা সহজ হয়। এতে আলাদা আলাদা ইমেইল পাঠানোর প্রয়োজন হয় না, এবং সব কিছু এক জায়গায় রাখা যায়।
৫. প্রফেশনাল ইনভয়েস তৈরি
গুগল শিটসে ইনভয়েস টেমপ্লেট তৈরি করা যায়, যা ক্লায়েন্টের নাম, কাজের বিবরণ, ঘণ্টা, রেট এবং মোট পরিমাণ সংবলিত থাকে। এটি সময় বাঁচায় এবং ইনভয়েসের প্রফেশনাল মান বাড়ায়।
৬. টু-ডু লিস্ট এবং প্রজেক্ট পরিকল্পনা
প্রতিদিনের কাজ এবং প্রজেক্টের স্টেপগুলো গুগল শিটসে লিস্ট আকারে সাজিয়ে রাখা যায়। এতে কাজের সকল আপডেট এবং ক্লায়েন্টদের ফিডব্যাক এক জায়গায় থাকে, এবং কোন কাজটি কোন অবস্থায় আছে, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়।
অতএব, ফ্রিল্যান্সিংয়ে গুগল শিটস ব্যবহার করলে কাজের গতি এবং দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব। এটি ফ্রিল্যান্সারদের আয় বাড়াতে এবং কাজকে আরও প্রফেশনাল ও সংগঠিত করতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্রঃ https://www.howtogeek.com/use-google-sheets-as-a-freelancer/
মারিয়া