ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাম্বার টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্তে বিশেষ সেল

বেরোবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০১:০১, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

বেরোবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাম্বার টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্তে বিশেষ সেল

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল  ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নাম্বার টেম্পারিং এর অভিযোগ পত্র জমা পড়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. হারুন অর রশীদ অভিযোগ পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযোগ পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিনি শিক্ষক জীবনের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি দেখানো, যৌন হয়রানি ও মার্ক টেম্পারিং করে ফলাফল খারাপ করিয়ে দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্টার বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে অভিযোগ পত্র দাখিলের কপি পাওয়া যায়। অভিযোগ পত্রে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সকল অন্যায়ের বিচার চেয়েছেন।

এর আগে সচেতন শিক্ষার্থীদের নামে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ও একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই শিক্ষার্থীর সাথে তিনটি অডিও ফাঁস হলে আলোচনায় আসেন।

অভিযোগের ব্যাপারে রেজিস্ট্রার ড. হারুন  অর রশীদ বলেন, ইমেইলে তার অভিযোগটি পেয়েছি এবং তৎক্ষণাৎ সেটি  প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে উপস্থাপন করেছি। অভিযোগকারী তার নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। তাই আমরা নাম প্রকাশ করতে পারব না। তদন্ত কমিটি শীগ্রই তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করি।

অভিযুক্ত সেই শিক্ষক  ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল  ইসলাম জীবন বলেন, হুম আমি অভিযোগ টা দেখলাম। এখন এটা প্রশাসন জমা দিয়েছে তাই এখন এটা প্রশাসন দেখবে। আমার এখানে কোনো মতামত নেই। প্রশাসন যদি তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ পায় তাহলে আমার শাস্তি হবে আর যদি না পায় তাহলে যে অভিযোগ করেছে সে শাস্তি পাবে। 

নাম্বার টেম্পারিংয়ের ও যৌন হয়রানির অভিযোগ বিষয়ক বিশেষ সেলের সদস্য সচিব ড.মো:ইলিয়াস প্রামাণিক বলেন, আমরা যে অভিযোগ দিয়েছে সেই ব্যাক্তিটি অভিযোগকারী কি না। যে রেকর্ড গুলো আমরা পেয়েছি সেগুলো সত্য কি না এটা নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করব। শুধু সত্য নাকি মিথ্যা সেটা যাচাই করব। এ পর্যন্ত যার যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আমরা সেই কাজ গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। ভিসি স্যার এই বিষয় নিয়ে আন্তরিক। শীঘ্রই এগুলোর সমাধান হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো: শওকত আলী বলেন,আমরা এর আগে যথাযথ মাধ্যমে অভিযোগ পত্র পাইনি কিন্তু এখন পেয়েছি। এবং এটা নিয়ে ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছি। আমরা এই জন্য একটি বিশেষ সেল গঠন করেছি। সেলের নাম হচ্ছে নাম্বার টেম্পারিংয়ের ও যৌন হয়রানির অভিযোগ বিষয়ক বিশেষ সেল। এখানে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারে আমরা অভিযোগকারীর নাম পরিচয় গোপন করে সত্যতা যাচাই  করব। সত্যতা মিললে আমরা আইন অনুযায়ী বিচার করব এতে জিরো টলারেন্স। 

 

রাজু

×