
ছবি: সংগৃহীত
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো :তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন থেকে যৌন হয়রানি ও রেজাল্ট টেম্পারিং এর অভিযোগ প্রমাণ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও তার পক্ষ নিয়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের দেওয়া বিবৃতি নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে।
সূত্র বলছে ঐ অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেকে বাঁচানোর জন্য তার বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে তার পক্ষে আজ (২৩শে এপ্রিল) বুধবার বিবৃতি দেন শিক্ষার্থীরা। এবং সেই বিবৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক জীবন যে তার পক্ষে ছাত্রদের বিবৃতি দেওয়াবেন তা ফাঁস হওয়া একটি অডিও ক্লিপেও শোনা যায়।
গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপে সাদিয়া নামের আইডি থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষার্থী জাকের হোসেন পাশাকে বলতে শোনা যায় "আপু কিছুদিন পর সব ঠিক হয়ে যাবে,সাধারন শিক্ষার্থীরা স্যারের পক্ষে বিবৃতি দিবে, আপনি একটু চুপ থাকেন" এর দুই দিন পরই তার পক্ষ নিয়ে সাধারন শিক্ষার্থীর নামে গুটি কয়েকজন শিক্ষার্থী এ বিবৃতি দেন।
অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করে বলে অভিযোগ প্রমাণ সহ পোস্ট করার পরও কেনো অভিযোগ কারী কে স্বশরীরে আসতে হবে?কেননা এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছদ্মনামে অভিযোগ দেওয়ায় প্রশাসন সেটা গ্রহন করেনি।আর রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিবৃতিতে লিখেন অভিযোগ কারীকে স্বশরীরে এসে জমা দিতে হবে। অনেকে এটাকে ওই স্যারকে বাঁচানোর একটা কৌশল মনে করতেছেন।
সরাসরি কয়েকজনের মন্তব্য দেওয়া হলো,
নাইমুর রহমান নামে একজন শিক্ষার্থী ওই বিবৃতির নিচে মন্তব্য করে বলেন, সম্মুখে এসে কেউ অভিযোগ না দিলে কি জীবন ষ্যাড় ফেরেশতা হয়ে যাবে?এমন একজন শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে পোলাপাইন বিবৃতি দেয় কোন আক্কেলে? নাকি সব সিজির লোভ?
সাইফ আহমেদ জিদান নামে আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করে বলেন,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সবাই কে ঢালাও ভাবে সিজি বিতরণ করা হবে নাকি?মানে এত প্রমাণ পাওয়ার পরেও কেন উল্টো ভিক্টিমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উঠতেছে?আর ন্যায়ের পক্ষে আছেন বল্লেন তাহলে আপনাদের কেন ওই ব্যক্তি কে দেখতে হবে?
প্রমান এনাফ নাহ?
সবুজ ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্য করে বলেন,কিছু নির্দিষ্ট পা চাটার জন্য এরকম অন্যায় করতে সাহস পাচ্ছে। এটা তো রীতিমতো থ্রেট হয়ে গেলো। আবার বলতেছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্বশরীরে না আসলে নাকি তাকে বিশৃঙ্খলাকারী হিসেবে দেখবে। কেমন থ্রেট। তাদের পীর যদি এতোই সৎ হয় তাইলে তার বিরুদ্ধে এতো এতো অভিযোগ যে মিথ্যা সেটা প্রমাণ করুক। আমি যেই কাজ করিনি সেই কথা কেউ যদি অভিযোগ তুলে, সেটা যেই হোক, ফেইক আইডি হোক, বা স্ব শরীরে না হোক, আমি তো তার প্রতিবাদ করবোই। সেটা যে মিথ্যা অভিযোগ, সেটার ব্যাখ্যা দিবোই।
শিহাব