
ছবি সংগৃহীত
বাংলা নববর্ষের দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও বিভিন্ন স্থানের দোকানিদের পাওনা পরিশোধে গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রতীকী হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জাবি শাখার উদ্যোগের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একটি স্টল দিয়ে এ কর্মসূচির সূচনা হয়। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বাকি পরিশোধকারীদের জন্য পুরষ্কারস্বরূপ হাওয়াই মিঠাই সহ বিভিন্ন মিষ্টান্নের ব্যবস্থা করা হয়।
আয়োজকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নসময় দোকানে বাকী খেয়ে থাকেন। এছাড়া বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের সময় অনেক শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি কিংবা ভয়-ভীতি দেখিয়ে দোকানগুলোতে বাকি করেছে। অনেকেই দীর্ঘসময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তা পরিশোধ করেনি। তাদের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বা দুর্বল দোকানিরা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ে। অপ্রয়োজনে বাকির এই চর্চা বন্ধের লক্ষেই এই আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ ব্যাচের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আমরা বটতলায় প্রতীকী হালখাতার এই স্টলে অবস্থান করছি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বটতলার বিভিন্ন দোকানে ও হলের ক্যান্টিনে বাকী খাওয়ার যে একটি প্রথা চালু করেছিল সেই প্রথাটিকে সম্পুর্নরুপে বিদায় জানাতে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজকে আমরা এই কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতিগুলো যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। বিগত দিনগুলোতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকান থেকে বিপুল পরিমাণে বাকী খেয়েছে। সেই বিষয়টিকে উপস্থাপন করে পরবর্তীতে কেউ যাতে আর এরকম বাকী না খায় তারই প্রতীকী রূপ তুলে ধরতে এবং বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে বটতলায় এ প্রতীকী হালখাতার আয়োজনটি করা হয়েছে।
আশিক