ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১

ঈদের ছুটি শেষে মুখর ক্যাম্পাস

জুবাইয়া বিন্তে কবির

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ঈদের ছুটি শেষে মুখর ক্যাম্পাস

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উদযাপন শেষে প্রিয় ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড্ডার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফার্স্ট (পশ্চিম) গেইট, সেকেন্ড (পূর্ব) গেইট, রুপালী ব্যাংক (দক্ষিণ) গেইট, বকুল তলা চত্ত্বর, মুক্ত বাংলা চত্ত্বর, লালকমল লেক, নীলকমল লেকের পাড়, টিএসসি মোড়, তাপসী রাবেয়া হলের সামনে, শহীদ জিয়া হলের সামনে, একেরামত আলী হল ও বিজয় ২৪ হলের সামনে, সৃজনী বিদ্যানিকেতন এলাকা, শহীদ মিনারের পাদদেশসহ বিভিন্ন স্পটগুলোতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
৬ এপ্রিল (রবিবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,  কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে উপাচার্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দপ্তর ও বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি অফিস কার্যক্রম, অফিসের কর্মপরিবেশ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির খোঁজ-খবর নেন। এসময় উপ- উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সিনিয়র উপপরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান সবুজ ও উপরেজিস্ট্রার ড. মো. আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী নুসরাত জানান, ‘ঈদের ছুটিতে যখন অনেকদিন পর বাড়িতে গেলাম তখন আমার কাছে মনেই হয়নি, আমি কখনো পটুয়াখালীতে ছিলাম। নিজের পরিজনদের সাথে থাকার মুহূর্তগুলি আমাকে যেন পটুয়াখালীর কথা ভুলিয়ে দিল। নিজের আপনজনদের কাছে যাবার মুহূর্তটি সত্যিই আনন্দদায়ক। যেদিন পটুয়াখালীতে চলে আসি সেইদিন আমার বাড়ির জন্য, নিজের আপনজনদের জন্য মনটা খুব কাঁদছিল। ওদের ছেড়ে ঢাকায় চলে আসতে একদমই ইচ্ছে করছিল না।’
এছাড়া পটুয়াখালীর বাহিরে গ্রামের বাড়ি থেকে আসা আরো শিক্ষার্থীদের একাংশ নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঈদ কিছুটা আনন্দের বাড়তি মাত্রা যোগ করে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই পরিবার পরিজন রেখে দূরে থাকে। ঈদ সব ব্যস্ততা-পড়াশুনাকে পাশ কাটিয়ে বাড়িতে যাওয়ার উপলক্ষ্য তৈরী করে দেয়। ফলে দীর্ঘদিন পর পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশিদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হওয়ায় আমরা আনন্দিত হই। ঈদে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ায় ক্লাস-পরীক্ষা ইত্যাদি দৈনন্দিন একঘেয়ে কার্যক্রম থেকেও আমরা কিছুটা মুক্তি লাভ করি। তাছাড়া বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘোরাঘুরি, আড্ডা দেয়াতো আছেই। ঈদ আমাদের জন্য নিয়ে আসে আনন্দের অকৃত্রিম কিছু সময়।’
উল্লেখ্য স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটি শুরুর আগে ও পরের শুক্র ও শনিবারসহ মোট ১৪ দিনের ছুটি ছিল। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইনস্টিটিউট, বিভাগ ও প্রশাসনিক দপ্তর বন্ধ থাকলেও জরুরি পরিষেবা চালু ছিল।

×