ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

জবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত: ২০:১৩, ৭ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে জবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

ছবি: জনকণ্ঠ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম, পিএইচডি বলেন, “মাসের পর মাস ধরে গাজায় নির্মম গণহত্যা চলছে। আমরা দেরিতে হলেও এর প্রতিবাদে আজ একত্রিত হয়েছি। সরাসরি কিছু করতে না পারলেও আমাদের প্রার্থনা যদি মহান আল্লাহ কবুল করেন, তবে হয়তো নির্যাতিত মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।”

তিনি ইসরায়েলের সকল পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমরা দেশীয় পণ্য ব্যবহার করে গাজাবাসীর পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে পারি।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন।

এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার যোহরের নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে এসে সমাবেশে পরিণত হয়। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাদের স্লোগান ছিল "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার", "বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার", "ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি", "স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা", "ধ্বংস হোক ইসরায়েল", এবং "নেতানিয়াহুর ফাঁসি চাই" ইত্যাদি।

সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, “আমরা ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে আজকের এই সমাবেশ করেছি। আমাদের সরকারের উচিত ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো।” তিনি আরও বলেন, “আজকের সমাবেশ থেকে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করছি—ইসরায়েলি পণ্য ছুঁয়েও দেখব না।”

শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব বলেন, “এখন আর বক্তব্য দেওয়ার সময় নয়, আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মুসলিম দেশগুলোকে জাগাতে হবে, না হলে এই হামলা একদিন আমাদের দিকেও আসবে।”

শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন , "হসপিটালগুলো ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, মসজিদগুলোকেও ধ্বংস করে ফেলছে। মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোকে বলতে চাই আমরা কেন চুপ করে আছেন ,কোন ইশারায় চুপ করে আছেন।মানবতার ফেরিওয়ালা জাতিসংঘকে বলতে চাই, আপনাদের মানবতা কোথায়। ওআইসিকে বলতে চাই, আপনারা উদ্যেগে গ্রহণ করুন। আমি সকলকে ভৌগলিক সীমারেখা , রাজনৈতিক, মতাদর্শের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে ইহুদিদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।"
 

শহীদ

×