
ছবি: জনকণ্ঠ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের ইজরায়েল এর বর্বরোচিত গণহত্যা শুরুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) বাদ মাগরিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গন হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে ভাস্কর্য চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এই সময় শিক্ষার্থীরা নেতানিয়াহুুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; বিশ্বমুসলিম ঐক্য গড় ফিলিস্তিন স্বাধীন করো; জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আর একবার; নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর; ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এসময় বক্তারা বলেন, আমাদের শক্তি সঞ্চয় করে ইউরোপ আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত মুসলমান ভাই ভাই এবং একটি দেহের মত। দেহের একটি অঙ্গ যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে শারীরিক ক্রিয়া যেমন ব্যাহত হয়, ঠিক তেমনি একজন মুসলিম ভাল না থাকলে অন্যরাও ভাল থাকতে পারে না। মুসলিম হিসেবে আমাদের লজ্জা অনুভব হয় যে, আমরা এখনও এই অসহ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে পারছি না। আমরা ভুলে যেতে বসেছি মুসলমানদের সেই পুরনো ঐতিহ্য।
এই সময় শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা কেন মজলুমদের পাশে দাড়াচ্ছো না, কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছ না। যখন ফিলিস্তিনের মানুষের উপর আঘাত করা হয়, সেই আঘাত আমাদের কলিজায় লাগে। আমরা প্রত্যাশা করি আবারও খালিদ বিন ওয়ালিদ আসবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই খালিদ বিন ওয়ালিদ ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সংগঠক ফয়সাল মুরাদ তার বক্তব্যে বলেন ,খিষ্টান ও ইহুদি রাষ্ট্রগুলো সারাজীবন শুধু মানবতার বুলি আওড়ায়। কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রশ্ন আসলেই তারা নীরব ভূমিকা পালন করে। তাদের প্রতিহত করে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করতে হবে।
শহীদ