
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে শিক্ষার সীমা কেবল বিদ্যালয় পর্যন্ত নয়। আজীবন শেখার দক্ষতা অর্জন, পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং জ্ঞানের প্রতি কৌতূহল বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষার্থীদের আজীবন শেখার পথে এগিয়ে নিতে ৭টি কার্যকর কৌশল হলো—
১. বিকাশযোগ্য মানসিকতা গড়ে তোলা – চ্যালেঞ্জকে সুযোগ হিসেবে দেখা, ভুল থেকে শেখা এবং কেবল ফলাফলের পরিবর্তে প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দেওয়া।
২. আত্ম-অন্বেষণকে উৎসাহিত করা – ব্যক্তিগত শেখার জার্নাল রাখা, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের আগ্রহের বিষয়বস্তু নথিভুক্ত করতে পারে এবং স্ব-নির্দেশিত শেখার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে।
৩. প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার – অনলাইন কোর্স, শিক্ষামূলক অ্যাপ ও ভার্চুয়াল ফিল্ড ট্রিপের মাধ্যমে ক্লাসরুমের বাইরে শেখার সুযোগ তৈরি করা।
৪. স্ব-নির্দেশিত শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা – শিক্ষার্থীদের নিজস্ব শেখার লক্ষ্য নির্ধারণ, প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার এবং অগ্রগতি মূল্যায়নের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে শেখার দক্ষতা বাড়ানো।
৫. স্পষ্ট শেখার লক্ষ্য নির্ধারণ – নির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও সময়সীমাবদ্ধ লক্ষ্য নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহী ও মনোযোগী করে তোলা।
৬. সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা গড়ে তোলা – বিতর্ক, সমস্যা সমাধানের অনুশীলন এবং বিশদ বিশ্লেষণমূলক প্রশ্নের মাধ্যমে চিন্তাশক্তিকে শাণিত করা।
৭. নিরবচ্ছিন্ন শেখার সংস্কৃতি তৈরি করা – শিক্ষকদেরও আজীবন শেখার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা, শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক মতামত প্রদান এবং শেখার প্রতিটি অগ্রগতি উদযাপন করা।
পরিশেষে, শিক্ষা কেবল পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য নয়; এটি একটি আজীবনের যাত্রা। শেখার প্রতি কৌতূহল ও পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।
আবীর